বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৩০ যুদ্ধবিমান, ১৬০০ ক্রু নিয়ে যাত্রা ১৮ তলা রণতরির

  •    
  • ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৩:১৫

৩০টি যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার একসঙ্গে অবস্থান করতে পারে ২৬২ মিটার লম্বা ও ৬২ মিটার চওড়া রণতরিটিতে। এতে মোট কক্ষের সংখ্যা ২৪০০টি। ২৫০টি তেলবাহী ট্যাংকারের সমপরিমাণ জ্বালানি রয়েছে এতে।

৩০টি যুদ্ধবিমান, ১৬০০ ক্রু নিয়ে নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ১৮ তলাবিশিষ্ট ভারতের প্রথম বিমানবাহী রণতরি ‘আইএনএস বিক্রান্ত’।

১৬ শয্যার হাসপাতালসহ অত্যাধুনিক সব ধরনের প্রযুক্তি-সমরাস্ত্র ও সেবা সংবলিত এই রণতরিটিকে তুলনা করা হচ্ছে ‘ভাসমান ঘাঁটির’ সঙ্গে।

কেরালা রাজ্যের কোচি শিপইয়ার্ডে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে রণতরিটিকে নৌবাহিনীর বহরে যুক্ত করেন।

৩০টি যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার একসঙ্গে অবস্থান করতে পারে ২৬২ মিটার লম্বা ও ৬২ মিটার চওড়া রণতরিটিতে। এতে মোট কক্ষের সংখ্যা ২৪০০টি। ২৫০টি তেলবাহী ট্যাংকারের সমপরিমাণ জ্বালানি রয়েছে এতে।

যুক্তরাজ্যের রণতরি রয়েল নেভির এইচএমএস কুইন এলিজাবেথের যুদ্ধবিমান ধারণক্ষমতা অন্তত ৪০টি এবং যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর রণতরিতে যুদ্ধবিমান থাকতে পারে ৬০ এর বেশি।

‘আইএনএস বিক্রমাদিত্যর’ পর এটি ভারতের দ্বিতীয় রণতরি, তবে বিমানবাহী রণতরি হিসেবে প্রথম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদি বলেন, এর মধ্য দিয়ে ভারতবাসী তাদের মনের দাসত্বকে মুছে ফেলতে সক্ষম হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ২৫ জুন সব বাধা পেরিয়ে সমুদ্রে নামে দেশটির প্রথম এয়ারক্রাফট কেরিয়ার ‘আইএনএস বিক্রান্ত’।

ভারতের প্রথম বিমানবাহী রণতরি ‘আইএনএস বিক্রান্ত’

আইএনএস বিক্রান্ত নামে ভারতে আগে একটি রণতরি ছিল। সেটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের হয়ে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পুরোনো হয়ে যাওয়ায় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগিতায় তৈরি সেই রণতরিটি পরে ভারতীয় নৌবহর থেকে বাতিল করে দেয়া হয়।

নতুন এই বিমানবাহী রণতরিটিকে ভারত তার সমুদ্র অভিযানে উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে দেখছে।

যুদ্ধজাহাজটি তৈরির পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল তিন দশক আগে। কাজ শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। তারপর নানা কারণে পিছিয়ে যেতে থাকে ২০ হাজার কোটি রুপির এই প্রকল্প।

তার মধ্যে করোনা মহামারির কারণে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে নতুন করে ধাক্কা খায় প্রকল্পের অগ্রগতি।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং শুক্রবার জানিয়েছেন, আগামী বছরেই শত্রু মোকাবিলায় সমুদ্রে নামবে এটি।

‘আইএনএস বিক্রান্ত’ ইন্ডিজেনাস এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার ১ বা আইএসি-১ নামেও পরিচিত। কেরালার কোচি শিপইয়ার্ড লিমিটেডে নির্মিত হয়েছে এই যুদ্ধবিমানবাহী রণতরি।

রণতরি আইএনএস বিক্রান্তের ভেতরে যুদ্ধবিমান মিগ-২৯। ছবি: বিবিসি

কোচিতে সেই এয়ারক্রাফট কেরিয়ারের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করে রাজনাথ সিং এমনটি জানিয়েছেন।

২০ হাজার কোটি ভারতীয় রুপির এই প্রকল্প সম্পন্ন করার কথা ছিল ২০১৮ সালে। কিন্তু নানা কারণে তা পিছিয়ে যায়। নৌবাহিনী সূত্রে খবর, ২০২০ সালের নভেম্বরে ট্রায়াল সম্পন্ন হয়। এই রণতরি ৪০ হাজার টন ওজন বহন করতে পারবে।

১৯৯৯ সালে তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জর্জ ফার্নান্ডেজের তত্ত্বাবধানে প্রথম এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২০১১ সালে এর নির্মাণকাজ মোটামুটিভাবে শেষ হয়। ২০১৩ সালের ১২ আগস্ট প্রথম সমুদ্রে নামানো হয় এই রণতরিটিকে।

নৌবাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, এ পর্যন্ত ভারতে যত রণতরি তৈরি হয়েছে তার মধ্যে এর নকশা সবচেয়ে জটিল।

এই রণতরিতে যে যুদ্ধাস্ত্র আছে তাতে যেকোনো ধরনের রণকৌশলের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবে। এতে রয়েছে দুটি ৩২ সেল যুক্ত ভার্টিকাল লঞ্চ সিস্টেম, যেখান থেকে ৬২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া সম্ভব।

ইসরায়েলের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধব্যবস্থা বারাক ওয়ান মিসাইল সিস্টেমও থাকবে আইএনএস বিক্রান্তে।

এ বিভাগের আরো খবর