বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টেলিমেডিসিনে সুস্থ স্ট্রোকের রোগী

  •    
  • ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১২:৪৪

কলকাতার এসএসকেএমের নিউরো হাবের চিকিৎসকরা টেলিমেডিসিন পদ্ধতিতে আসানসোলে থাকা রোগীর অবস্থা সম্পর্কে অবগত হন এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রেখে থ্রম্বোলাইসিস পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু করার জন্য দিকনির্দেশনা দেন। পরে এসএসকেএমের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।

আশঙ্কাজনক রোগীকে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে একজন সংকটাপন্ন রোগীর জীবন বাঁচিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

আসানসোলের মুনশি বাজারের বাসিন্দা নাজমা খাতুনের সুগার কদিন ধরেই ওঠানামা করছিল, ফলে শরীরটাও তার খারাপ যাচ্ছিল। মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারালে দ্রুত তাকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক গৌতম মণ্ডল পরীক্ষা করে দেখেন যে রোগীর শরীরের একটি অংশ অবশ হয়ে গেছে এবং মুখ বেঁকে গেছে। তিনি বুঝতে পারেন, রোগীর স্ট্রোক হয়েছে।

দ্রুত রোগীর সিটি স্ক্যানের ব্যবস্থা করা হয়।

সিটি স্ক্যানের প্রতিবেদন দেখে স্ট্রোক নিশ্চিত হয়ে কলকাতার নিউরো হাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন চিকিৎসক গৌতম মণ্ডল, কারণ আসানসোল জেলা হাসপাতালে কোনো নিউরো সার্জন নেই।

এসএসকেএমের নিউরো হাবের চিকিৎসকরা টেলিমেডিসিন পদ্ধতিতে রোগীর অবস্থা সম্পর্কে অবগত হন এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রেখে থ্রম্বোলাইসিস পদ্ধতিতে চিকিৎসা শুরু করার জন্য দিকনির্দেশনা দিতে থাকেন।

এসএসকেএমের ডাক্তারদের নির্দেশনায় খুব দামি ইঞ্জেকশন দেয়া হয় রোগীকে।

ইঞ্জেকশন দেয়ার ঘণ্টা দুয়েক পর থেকে রোগী সুস্থ হতে শুরু করেন। শরীরের অবশ হয়ে যাওয়া অংশও সাড়া দিতে শুরু করে এবং বেঁকে যাওয়া মুখও স্বাভাবিক হতে শুরু করে এবং কথাও বলতে শুরু করেন নাজমা খাতুন। এখন তিনি আশঙ্কামুক্ত।

আসানসোলের মুন্সীগঞ্জের বাসিন্দা হলেও নাজমা খাতুন বর্তমানে তার এক ছেলের সঙ্গে উত্তর প্রদেশে থাকেন । সম্প্রতি আসানসোলে আর এক ছেলের কাছে এসেছিলেন। নাজমার ছেলে নওশাদ আলম বলেন, 'আসানসোল জেলা হাসপাতাল অসাধারণ চিকিৎসা করেছে। চিকিৎসকদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।'

চিকিৎসক গৌতম মণ্ডল বলেন, 'স্ট্রোকের ক্ষেত্রে প্রথম চার ঘণ্টা গোল্ডেন পিরিয়ড বলা হয় । এই সময়টা যদি পাওয়া যায়, তাহলে সিটি স্ক্যান আর টেলিমেডিসিন পদ্ধতির মাধ্যমে রোগীকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব।'

করোনা মহামারির সময়ে এই টেলিমেডিসিন পদ্ধতি খুব কাজে দিয়েছিল । ভাইরাস সংক্রমণের কারণে দূরত্ব বিধি বজায় রাখতে টেলিমেডিসিন পদ্ধতিতে চিকিৎসা পরিষেবা চালু হয়। বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস গ্যাজেটস ব্যবহার করে দূর-দূরান্তের রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দেয়া যায় এই পদ্ধতিতে।

ভারতে টেলিফোন, ভিডিও কনফারেন্স, টেলিভিশনের পর্দা, ক্যামেরা, হোয়াটসঅ্যাপের সাহায্যে নিয়ে টেলিমেডিসিন পদ্ধতি চিকিৎসাসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর