যুক্তরাজ্যে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসরত ৮ লাখ শিশু-শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খাবারের ব্যবস্থা চালুর দাবি উঠেছে।
শিশুর অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন চাইল্ড পোভার্টি অ্যাকশন গ্রুপ জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে দেশটিতে খুলতে যাচ্ছে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, তবে এখনও দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসরত ৮ লাখ শিশু-শিক্ষার্থীর স্কুলে বিনা মূল্যে দেয়া খাবারের তালিকাভুক্ত করা হয়নি।
সেই সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে জ্বালানির দাম বাড়ায় দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসরতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাই প্রধান শিক্ষকদের করা নতুন তালিকায় উঠে আসছে সেসব শিক্ষার্থীর নাম, যাদের অভিভাবকরা সন্তানদের ঠিকমতো খাবার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
এক্সেটার রোড কমিউনিটি এলিমেন্টারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক পল গজলিং বলেন, ‘এবার তীব্র ঠান্ডায় একদল শিক্ষার্থীকে দেখেছি যারা খানিকটা উষ্ণতা পেতে আমার কার্যালয়ে চলতে থাকা রেডিওটরের কাছে দাঁড়িয়েছিল। আমরা আশঙ্কা করছি, আরও বেশিসংখ্যক শিশু-শিক্ষার্থী স্কুলে ক্ষুধার্ত অবস্থায় আসতে পারে।’
পল গজলিং যিনি ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব হেড টিচার্স ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট জানান, জ্বালানিসংকটে স্কুল কর্তৃপক্ষ কীভাবে বাতি জ্বালিয়ে রাখবে সে বিষয়ে যেমন উৎকণ্ঠা রয়েছে, তেমনি নতুনভাবে অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শিক্ষার্থীদের পরিবার নিয়েও শঙ্কিত তারা।
যুক্তরাজ্যে প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলে বিনা মূল্যে খাবার পায়। এর বাইরে যেসব শিক্ষার্থীর বাবা-মায়ের বছরে আয় ৭ হাজার ৪০০ পাউন্ডের কম, তারাও এই সুবিধা পেয়ে থাকে। তবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম পরিবারপ্রতি বছরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পাউন্ড বেড়ে যাওয়ায় অনেক পরিবার নতুনভাবে অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আন্দোলনের মুখে ২০২০ সালের নভেম্বরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিম্নআয়ের পরিবারের শিশুদের জন্যে স্কুলে বিনা মূল্যে খাবার দেয়ার নিয়ম চালু করতে বাধ্য হন।
দেশটিতে শিশু-শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৮০ লাখ।