লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে শনিবার বিরোধী পক্ষগুলোর সংঘর্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
দেশটিতে কয়েক মাস ধরে চলা রাজনৈতিক অচলাবস্থা গত দুই বছরের সবচেয়ে বাজে সংঘর্ষে রূপ নেয়। এটি বৃহত্তর সংঘাতে পরিণত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৭ জন বেসামরিক নাগরিক। এর আগে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৮৭ জন আহত হওয়ার খবর জানানো হয়েছিল।
গত দুই বছর তুলনামূলক শান্ত থাকা লিবিয়ার রাজধানীতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অব্যাহত লড়াইয়ে পুরোপুরি যুদ্ধাবস্থা ফেরার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
দেশটিতে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে আবদুলহামিদ আল-দেবেইবাহর নেতৃত্বাধীন ত্রিপোলিভিত্তিক জাতীয় ঐক্যের সরকার (জিএনইউ) ও ফাতি বাশাগার নেতৃত্বাধীন বিরোধীদের প্রশাসন, যাতে সমর্থন রয়েছে পূর্বাঞ্চলভিত্তিক পার্লামেন্টের।
রাজধানী ত্রিপোলিতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার পর ২০১৪ সাল থেকে পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদ সরিয়ে লিবিয়ার একেবারে পূর্ব প্রান্তের তবরুকে নেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, শনিবার কয়েকটি দিক থেকে আক্রমণ করে ত্রিপোলির একাংশ দখলে নিতে চায় বাশাগার জোটভুক্ত বাহিনীর সদস্যরা, তবে তার সামরিক বহর রাজধানীতে পৌঁছার আগে পিছু হটে মিসরাতার দিকে যায়।
জিএনইউর প্রধান দেবেইবাহর পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, সংঘর্ষ বন্ধের পর যোদ্ধাদের সঙ্গে আছেন তিনি।