বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ঋণদাতাদের এক টেবিলে বসাতে চায় জাপান

  •    
  • ২৬ আগস্ট, ২০২২ ১২:২৯

জাপানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে যে বৈঠকের আয়োজন করার কথা চলছে, তাতে শীর্ষ ঋণদাতা চীন যোগ দেবে কি না তা নিয়েও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। কোনো বক্তব্যও দেয়নি তারা।

অর্থনৈতিক সংকটে বিপর্যস্ত দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কার ঋণদাতা দেশগুলো নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করতে চায় জাপান, এ পথে সমস্যা সমাধানের উপায় বের হবে বলে আশা দেশটির।

তবে এই পরিকল্পনা কতটুকু কার্যকর হবে তা নিয়ে অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ অন্য দেশগুলো থেকে এ নিয়ে এখনও প্রতিক্রিয়া আসেনি। সংশ্লিষ্টদের বরাতে এমনই লিখেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স

জাপানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে যে বৈঠকের আয়োজন করার কথা চলছে, তাতে শীর্ষ ঋণদাতা চীন যোগ দেবে কি না তা নিয়েও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। কোনো বক্তব্যও দেয়নি তারা।

ঋণ সংকট নিয়ে আলোচানার মধ্যে গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে রয়টার্সকে জানান, দ্বিপাক্ষিক ঋণ পুনর্গঠন নিয়ে আলোচনার জন্য জাপানকে প্রধান ঋণদাতা দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানাতে বলবে শ্রীলঙ্কা।

ওই সময় তিনি আরও জানান, দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেয়ার সময় আগামী মাসে টোকিওতে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।

দ্বীপদেশ শ্রীলঙ্কার নেয়া মোট ঋণের পরিমাণ ৯৭ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। এতে জাপান, চীন, ভারত, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক থেকে নেয়া দ্বিপক্ষীয় ঋণের পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎস থেকে নেওয়া সার্বভৌম ঋণ রয়েছে।

এর মধ্যে বুধবার আইএমএফের একটি দল বিক্রমাসিংহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তাদের কাছে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে শ্রীলঙ্কা। একইদিন জাপানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গেও প্রেসিডেন্টের সাক্ষাৎ হয়েছে। সে বৈঠকেও এসেছে ঋণ প্রসঙ্গ।

সূত্র বলছে, জাপান শ্রীলঙ্কার ঋণ সংকট সমাধানে ব্যাপকভাবে আগ্রহী। তবে একা দেশটির পক্ষে সমাধান সম্ভব নয়। এগিয়ে আসতে হবে অন্য দেশগুলোকেও।

এ ব্যাপারে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ১৮২ কোটি ডলারে নেমেছে। দেশটির সামগ্রিক ঋণ এখন জিডিপির চেয়েও বেশি।

স্বাধীনতার পর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটে পড়ার পেছনে শ্রীলঙ্কার পর্যটন খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ব্যাপারটি দায়ী। দেশটির বৈদেশিক মজুতের বড় উৎস হচ্ছে বিদেশি পর্যটক। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তাতে ধস নামে। এর মধ্যে যোগ দেয় বিশ্বমন্দা।

শ্রীলঙ্কার মোট বৈদেশিক ঋণের ১০ শতাংশ চীনের কাছ থেকে নেয়া। আর বাকি ঋণের মধ্যে এডিবি ১৩ শতাংশ, জাপান ১০ শতাংশ, বিশ্বব্যাংক ৯ শতাংশ, ভারত ২ শতাংশ ও অন্য উৎস ৯ শতাংশ।

স্বাধীন হওয়ার ৭০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে গত মে মাসে প্রথমবারের মতো ঋণখেলাপি হয় সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কা। ঋণের সুদ হিসেবে আসা ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার পরিশোধে অতিরিক্ত ৩০ দিন পার হওয়ার ঋণখেলাপি হওয়ার ওই ঘোষণা আসে। দেশটিতে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামে বিপর্যস্ত হয়ে ওঠে জনজীবন।

গত কয়েক বছর শ্রীলঙ্কার রাজনীতি বেশ টালমাটাল ছিল। এই অবস্থায় দেশটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ নাটকীয়ভাবে কমে আসে। সংকটের জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতিকে দায়ী করেন বিক্ষোভকারীরা।

এমন প্রেক্ষাপটে বিক্ষোভরতদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও ক্ষমতাসীনদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে প্রাণ গেছে পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজনের।

একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজপাকসে এবং প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকেও ক্ষমতা ছাড়তে হয়। দুই কোটির বেশি জনসংখ্যার এই দেশের সংকট কাটছে না কিছুতেই।

এ বিভাগের আরো খবর