ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলায় দুধের কনটেইনার উল্টে বেরিয়ে এসেছে ২২টি গরু। এর মধ্যে পাঁটি মৃত। গরু পাচারের নতুন এই পন্থায় শুরু হয়েছে হইচই। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
গরু পাচার ইস্যুতে রীতিমতো তোলপাড় চলছে পশ্চিমবঙ্গে। এই ইস্যুতে এরই মধ্যে বীরভূমের প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার সকালে পুরুলিয়ার হুড়া থানার অন্তর্গত পুরুলিয়া বাঁকুড়া ৬০-এ জাতীয় সড়কের বিষপুরিয়া মোড়ের কাছে ১৪ চাকার একটি দুধের কনটেইনারের ট্রাক উল্টে দুধ নয়, গরু বেরিয়ে আসায় নতুন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গরুগুলোকে জব্দ করেছে এবং কনটেইনারের চালকসহ ৩ জনকে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ বলছে, গরুগুলোকে ঔরঙ্গাবাদ থেকে তোলা হয়েছিল কনটেইনারে।
পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার এস সেলভামুরুগন বলেন, ‘এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব।’
কিন্তু দুধের কনটেনারে গরু কেন? পুলিশের একাংশ বলছে, দুধ অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। সে জন্য নাকা চেকিংয়ের সময় সেইভাবে খতিয়ে দেখা হয় না। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে দুধের কনটেইনার ব্যবহার করা হচ্ছে গরু পাচারের কাজে।
কনটেইনার উল্টে না গেলে জানাই যেত না দুধের গাড়িতে গরু রয়েছে। যদিও গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের দাবি, পাচার নয়, চাষের কাজে ব্যবহার করার জন্য গরুগুলোকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
এ বিষয়ে বিজেপি জেলা সম্পাদক আব্দুল আলিম আনসারির অভিযোগ, ‘পুরুলিয়ায় যে গরু পাচারের রমরমা কারবার রয়েছে, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।’
এ ঘটনায় তৃণমূলের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
দুধের কনটেইনারের চালকসহ আটক ৩ জন হলেন ইয়াসমিন খান, নেহাল কুরেশি ও মিরাজ কুরেশি। পুলিশ বলছে, তারা বিহারের বাসিন্দা।
বুধবার পুরুলিয়ার জেলা আদালতে গ্রেপ্তারকৃতদের তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।