বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রীর মূত্র পরীক্ষায় মেলেনি মাদক

  •    
  • ২৩ আগস্ট, ২০২২ ১২:২০

তার কাছ থেকে ১৯ আগস্ট নেয়া নমুনায় কোনো মাদকের উপস্থিতি নেই এবং এই রিপোর্টে একজন চিকিৎসকের স্বাক্ষর রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

মাদকাসক্ত কি না তা জানতে ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের মূত্রের নমুনা। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি।

এর মধ্যদিয়ে গত কদিন ধরে ৩৬ বছর বয়সী এ রাজনীতিককে ঘিরে যে বিতর্ক চলছিল তাতে ভাটা পড়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হলো সহজেই।

সন্দেহ দূর করতে করা পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এসেছে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাতে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি

প্রধানমন্ত্রী সানার বিশেষ উপদেষ্টা আইডা ভ্যালিন এএফপিকে বলেছেন, সানা মারিনের প্রস্রাবের নমুনায় কোকেন, অ্যামফিটামিন, গাঁজা এবং ওপিওডের মতো বিভিন্ন মাদকের উপস্থিতি আছে কি না তা জানতে পরীক্ষা করা হয়েছিল।

তার কাছ থেকে ১৯ আগস্ট নেয়া নমুনায় কোনো মাদকের উপস্থিতি নেই এবং এই রিপোর্টে একজন চিকিৎসকের স্বাক্ষর রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

কদিন ধরে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, তার শুরুটা হয় গত সপ্তাহে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিও থেকে।

ফাঁস হওয়া ওই ভিডিওতে সানা মারিনকে উদ্দাম নাচতে দেখা যাওয়ায় দেশটিতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রী ও তার বন্ধুদের নাচতে ও গাইতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে ফিনিশ সেলিব্রেটিরাও রয়েছেন।

ভিডিও ছড়ানোর পর বিরোধীদলীয় নেতা রিক্কা পুররা প্রধানমন্ত্রীর মাদকাসক্তি বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে তার ড্রাগ টেস্টের দাবি জানান।

একসময় মারিনের হয়ে কোয়ালিশন সরকারে কাজ করা পার্লামেন্ট সদস্য মিক্কো কারনাও বলেন, এটি বুদ্ধিমানের কাজ হবে যদি মারিন নিজে থেকে ড্রাগ টেস্ট করতে যান।

তবে মাদকাসক্তির বিষয়টি অস্বীকার করে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রী সানা। তার দাবি, তিনি শুধু মদ পান করেছিলেন এবং হইচই করে পার্টি উদযাপন করেছিলেন।

পরে এক বার্তায় তিনি বলেন, তিনি জানতেন যে ভিডিও ধারণ করা হচ্ছে এবং তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন যে ভিডিও জনসমক্ষে প্রকাশ পেতে পারে।

সানা বলেন, ‘আমি নেচেছি, গেয়েছি, পার্টি করেছি। এগুলো সবই বৈধ এবং আমি কখনই কোনো ড্রাগ সেবন করিনি। আমার পারিবারিক জীবন আছে। আমার কাজ আছে এবং অবসর সময়ও আছে। আমার বয়সী মানুষেরা যেভাবে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটায়, আমিও একইভাবে সময় কাটাই।’

তবে একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, টেস্ট করতে তার কোনো আপত্তি নেই এবং তিনি তার ব্যবহার, চালচলন পরিবর্তন করতেও রাজি নন।

বর্তমান বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রপ্রধান এবারই যে প্রথম বিতর্কের জন্ম দিলেন তা নয়। গত বছর কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পরও ক্লাবে গিয়ে সংবাদের শিরোনাম হন তিনি।

এমন সব বিতর্ক পাশে রেখে গত সপ্তাহে জার্মান নিউজ আউটলেট বিল্ড তাকে এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো প্রধানমন্ত্রী আখ্যা দিয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর