বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারতের নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন রাধাকৃষ্ণন

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:৫৫

ভারতের নতুন উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী সি পি রাধাকৃষ্ণন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক বিচারপতি সুদর্শন রেড্ডিকে হারিয়ে তিনি এ পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কয়েক সপ্তাহ আগে হঠাৎ করেই আগের উপরাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করায় মধ্যবর্তী ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৭৮১ সদস্যবিশিষ্ট ইলেকটোরাল কলেজ- যেখানে সংসদের উভয় কক্ষের সদস্যরা ভোট দেন- ভোটে রাধাকৃষ্ণন পান ৪৫২টি ভোট।

অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সুপ্রিম কোর্ট সাবেক বিচারপতি সুদর্শন রেড্ডি পেয়েছেন ৩০০ ভোট।

বিবিসি বলছে, দীর্ঘদিনের বিজেপি রাজনীতিক রাধাকৃষ্ণন বর্তমানে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিভিন্ন সংসদীয় কমিটিতেও কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, তিনি একজন ‘অসাধারণ উপ-রাষ্ট্রপতি’ হবেন এবং ‘সংবিধানিক মূল্যবোধ আরও শক্তিশালী করবেন।’

এই নির্বাচনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল, কারণ গত জুলাই মাসে জগদীপ ধনখড় হঠাৎ করেই স্বাস্থ্যজনিত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। তিনি ২০২২ সালের আগস্টে দায়িত্ব নিয়েছিলেন এবং ২০২৭ সাল পর্যন্ত তার দায়িত্বে থাকার কথা ছিল।

ধনখড় পদত্যাগের পর বিরোধীদের মধ্যে গুঞ্জন ওঠে, হয়তো তার সঙ্গে শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্বের সম্পর্কের টানাপোড়েন ছিল। যদিও ধনখড় নিজে বলেছেন, স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিতে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তিনি পদ ছাড়ছেন। কংগ্রেস নেতারা দাবি করেছিলেন, পদত্যাগের পেছনে আরও গভীর কারণ রয়েছে।

মোদি এ বিষয়ে শুধু তার সুস্বাস্থ্য কামনা করে মন্তব্য সীমিত রাখেন। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘অকারণে বিষয়টি নিয়ে ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে।’

এদিকে মধ্যবর্তী সময়ে নির্বাচিত হলেও রাধাকৃষ্ণন পূর্ণ পাঁচ বছরের জন্য উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ভোটে মোট ৭৫৪টি ভোট পড়ে, যার মধ্যে ১৫টি অবৈধ ঘোষিত হয়। বৈধ ভোটের মধ্যে রাধাকৃষ্ণন পান ৪৫২টি, আর রেড্ডি পান ৩০০ ভোট।

৬৮ বছর বয়সী রাধাকৃষ্ণনের জন্ম ১৯৫৭ সালে ভারতের দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুতে। কৈশোরে তিনি যোগদেন জাতীয় স্বয়ংসেবক সংঘে (আরএসএস), যা বিজেপির আদর্শিক ভিত্তি হিসেবে পরিচিত। ধীরে ধীরে তিনি বিজেপির বিভিন্ন পদে ওঠেন এবং রাজ্য সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে কোয়েম্বাটুর আসন থেকে দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তার বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাব ও বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে সেতুবন্ধন গড়ার দক্ষতা নতুন ভূমিকায় সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শপথ নেওয়ার আগে তাকে অবশ্যই মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের পদ ছাড়তে হবে।

ভারতের সাংবিধানিকভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদধারী হলেন উপরাষ্ট্রপতি। তিনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে সাময়িকভাবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও পালন করেন উপরাষ্ট্রপতি।

এ বিভাগের আরো খবর