দিনকাল ভালো যাচ্ছে না ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনার। কদিন আগে ঘরোয়া পার্টিতে নাচ ও মদ্যপানের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে আছেন ৩৬ বছর বয়সী ফিনিস প্রধানমন্ত্রী।
বিতর্কের মুখে ড্রাগ টেস্টও করতে হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রীকে।
Finnish Prime Minster Sanna Marin proving when you work hard, you can play hard 😎👌🎉 pic.twitter.com/8EjQjDUJPc
— Very Finnish Problems (@VFinnishProbs) August 17, 2022এমন দুঃসময়ে সানার পাশে দাঁড়িয়েছে ইউরোপের মানুষ। সানার প্রতি সংহতি জানিয়ে (#SolidarityWithSanna) ট্যাগের সঙ্গে নিজেদের নাচের ভিডিও আপলোড করছেন অনেকে। নারীদের নাচ এবং বন্ধুদের সঙ্গে মজা করা যে অপরাধ না, এসব ভিডিও-তে সেটাই প্রমাণের চেষ্টা করেছেন তারা।
নাচের ভিডিও-র ক্যাপশনে কারলিনা ব্রুম নামে একজন লেখেন, ‘নাচ উপকারী। নাচতে থাকুন সানা মারিন।’
Dancing is healing. Keep dancing, @MarinSanna. Solidarity with Sanna. #letsdance #solidaritywithsanna #SannaMarin pic.twitter.com/7UXfRqIfJk
— Dr. Carolina Brum (@CoxaValgus) August 20, 2022অ্যান মেটলার নামে একজন লিখেছেন, ‘নাচের রানিদের জন্য আকাশ হলো সীমা’।
The sky is the limit for Dancing Queens #solidaritywithsanna pic.twitter.com/47eY4KVbSr
— Ann Mettler (@AnnMettler) August 21, 2022ইস্টার মার্টিনেজ নামে একজন লিখেছেন, ‘চল একে অন্যের জন্য নাচি’।
Let’s dance for each other 💃💃💃 #solidaritywithsanna pic.twitter.com/Sx9InOy6M7
— Ester Martinez (@Ester_Matters) August 21, 2022ভিডিও প্রকাশের পর গত বৃহস্পতিবার দেয়া এক বার্তায় সানা জানিয়েছিলেন, তিনি জানতেন ভিডিও ধারণ হচ্ছে। উদ্বিগ্ন ছিলেন এ ভিডিও জনসমক্ষে প্রকাশ পেতে পারে।
‘আমি নেচেছি, গেয়েছি, পার্টি করেছি। এগুলো সবই বৈধ। আমি কখনই কোনো ড্রাগ নিইনি। আমার পারিবারিক জীবন আছে। আমার কাজ আছে এবং অবসর সময়ও আছে। আমার বয়সী মানুষরা যেভাবে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটায়, আমিও একইভাবে সময় কাটাই।’
বর্তমান বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রপ্রধান এবারই প্রথম বিতর্কের জন্ম দেননি তিনি। গত বছর কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার পরেও তিনি ক্লাবে গিয়েছিলেন। পরে এই জন্য তিনি ক্ষমাও চান। জার্মান নিউজ আউটলেট বিল্ড গত সপ্তাহে তাকে এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো প্রধানমন্ত্রী আখ্যা দেয়।