যেকোনো সময় আটক হতে পারেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতা ইমরান খান, এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে পিটিআই সমর্থকদের মধ্যে।
পাকিস্তানের পুলিশ দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় অভিযুক্ত করেছে।
জিও টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমরানকে গ্রেপ্তার করতে এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
একটি সূত্র বলছে, গ্রেপ্তার এড়াতে নিজের বাসভবন বানি গালা ত্যাগ করেছেন ইমরান। যদিও পিটিআই নেতা ফয়সাল ভাদওয়া বলছেন, ইমরান এখনও বানি গালাতেই আছেন।
পিটিআইয়ের পক্ষ থেকে ইমরানের সমর্থকদের মাঠে নামতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে শত শত পিটিআই সমর্থক ইমরানের বাড়ি ঘিরে অবস্থান নিয়েছেন।
সমর্থকরা ঘোষণা করেছেন, ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হলে তারা ইসলামাবাদ দখলে নেবেন। পুলিশও ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে।
এর আগে শনিবার এক বক্তৃতায় ইসলামাবাদের পুলিশপ্রধান ও একজন নারী বিচারকের বিরুদ্ধে তার ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীদের আটক ও তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ করেন ইমরান।
সেই বক্তৃতায় ইসলামাবাদ পুলিশপ্রধান ও নারী বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
পুলিশ সেই হুঁশিয়ারিকেই হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে তদন্ত শুরু করে এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ইমরান খানকে অভিযুক্ত করে।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খান
২০১৮ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন ইমরান খান। এ বছরের এপ্রিলের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের পর ইমরান খান দেশটির সেনাবাহিনী ও শাহবাজ শরিফ নেতৃত্বাধীন সরকারের একজন সোচ্চার সমালোচক হয়ে উঠেছেন।
যদিও সেনাবাহিনীর সমর্থনেই তিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল বিরোধীদের।
ইমরান বলেছেন, কোনোভাবেই তিনি চোরের দলকে (শাহবাজ নেতৃত্বাধীন সরকার) মেনে নেবেন না। ইমরানের অভিযোগ, সরকার তাকে সেন্সর করতে চাইছে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানে এখন আগাম জাতীয় নির্বাচন চাইছেন।