আসন্ন শীতে যুক্তরাজ্যে লাখ লাখ মানুষ কনকনে ঠান্ডা ও তীব্র খাদ্যসংকটের মুখোমুখি হবেন বলে আশঙ্কা করছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং ১০ শতাংশের বেশি মুদ্রাস্ফীতির কথা উল্লেখ করে টুইটে সাদিক লেখেন, ‘আমরা এমন একটি শীতের মুখোমুখি হচ্ছি, যেখানে লাখ লাখ মানুষ উষ্ণতা বা খাবার- এ দুইয়ের মধ্যে কেবল একটিকে বেছে নিতে পারবে না, বরং দুটিরই সংকটে ভুগবে।

‘এমনটা ঘটতে দেয়া যায় না। মানুষ যেন তাদের মৌলিক চাহিদা মেটাতে পারে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে ব্রিটিশ সরকারকে।’

টুইটে অক্সিলিওন এনার্জি কনসালটেন্সির একটি তথ্য শেয়ার করেন লন্ডনের মেয়র। লেখেন, ‘অক্টোবরে যুক্তরাজ্যে জ্বালানি খরচ ৮০ শতাংশ বাড়তে পারে, যা প্রতি বছর গড়ে ৪ হাজার ২৯২ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।’

We’ve seen nothing like this before. We’re facing a winter where for millions it won’t be about choosing between heating or eating but tragically being able to afford neither.This can’t happen. Govt needs to step in so that people can meet their basic needs. @BloombergUK pic.twitter.com/bZra2HMFuS

লন্ডনের একটি খাদ্যগুদাম পরিদর্শন করার সময় শুক্রবার একই শঙ্কা জানিয়েছিলেন সাদিক খান। তিনি বলেছিলেন, তার প্রশাসন লড়াকু লন্ডনবাসীকে সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে সরকারকে আরও কঠোর প্রচেষ্টা নিতে হবে। কারণ খরচ বাড়ার প্রবণতা, কমার কোনো লক্ষণ নেই।

‘জীবনযাত্রার এই ব্যয়কে জাতীয় দুর্যোগে পরিণত হওয়া থেকে ঠেকাতে মন্ত্রীদের এখনই কাজ শুরু করতে হবে।’

করোনা মহামারিতে বড় অর্থনৈতিক ধাক্কা খায় ইউরোপ। এরপর ইউক্রেন যুদ্ধ মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় সংকট আরও তীব্র হয়েছে।

যুক্তরাজ্য জ্বালানির জন্য সরাসরি রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল নয়, তবে বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার কারণে দেশটি ইউক্রেন সংকটকে এড়িয়ে থাকতে পারেনি।