বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রুশ তেল পরিবহনে দিল্লির ভূমিকায় ওয়াশিংটনের চিন্তা 

  •    
  • ১৪ আগস্ট, ২০২২ ২১:০৩

দিল্লি বলছে, রাশিয়ার তেলপণ্য ভারতের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে স্থানান্তর করায় ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন।

রাশিয়া থেকে তেল কিনে যুক্তরাষ্ট্রে তা পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে ভারতের বিরুদ্ধে। ওয়াশিংটনের দাবি, গভীর সাগরে রুশ ট্যাংকার থেকে ভারতীয় জাহাজে তেল তোলা হয়েছিল। গুজরাট বন্দর থেকে সে তেলবাহী জাহাজ নিউ ইয়র্কে পৌঁছেছে।

এ ঘটনায় দিল্লির সঙ্গে ওয়াশিংটন যোগাযোগ করেছে। ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মাইকেল পাত্রের বরাতে শনিবার এ খবর ছেপেছে রয়টার্স।

পাত্রের ভাষ্য, একটি ভারতীয় জাহাজ গভীর সাগরে রাশিয়ান ট্যাংকার থেকে তেল তুলেছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারিকে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। ভারতীয় জাহাজ এই তেল পশ্চিম উপকূলে গুজরাট রাজ্যের একটি বন্দরে পৌঁছে দেয়, যেখানে তেল প্রক্রিয়া করা হয়। তারপর তা নিউ ইয়র্কে পাঠানো হয়।

ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনে ওড়িশায় একটি অনুষ্ঠানে পাত্র বলেন, ‘আপনারা জানেন যে যারা রাশিয়ান তেল কিনছেন, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কদিন আগে গভীর সাগরে ভারতীয় জাহাজের সঙ্গে রাশিয়ান ট্যাংকারের দেখা হয়েছিল। সেখানে রুশ ট্যাংকার থেকে ভারতীয় জাহাজে তেল নেয়া হয়। পরে এটি গুজরাটের একটি বন্দরে চলে আসে।

‘সেই বন্দরে এ তেল প্রক্রিয়াজাত করা হয়। এতে তেল পাতনে রূপান্তরিত হয়েছিল, যা মূলত প্লাস্টিক তৈরিতে কাজে লাগে। পরিশ্রুত আউটপুট সেই জাহাজে আবার রাখা হয়েছিল এবং এটি গন্তব্যহীন যাত্রা করেছিল। মাঝসাগরে এটির কোর্স ঠিক হলে নিউ ইয়র্কে পৌঁছায়।’

কর্মকর্তা বিতর্কিত জাহাজের নাম প্রকাশ করেননি। জাহাজের বিস্তারিতও জানা যায়নি।

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়ার তেল ও তেলপণ্য নিষিদ্ধ করে। এই নিষেধাজ্ঞায় মতামত জানায়নি দিল্লি।

ইউক্রেন যুদ্ধের আগে রাশিয়া থেকে অল্প পরিমাণে তেল কিনত ভারত। তবে নিষেধাজ্ঞায় মুখে পরে রাশিয়া তেলের দামে ছাড় দিলে সুযোগটাকে কাজে লাগায় ভারত। গত মার্চ থেকে রুশ তেল কেনা ১০ গুণ বাড়িয়েছে দিল্লি।

ব্লুমবার্গ বলছে, জুনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির (ভারত) দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী হিসেবে সৌদি আরবকে ছাড়িয়ে গেছে রাশিয়া। ইরাকের পরই এখন মস্কোর অবস্থান।

দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

এ বিভাগের আরো খবর