ইউক্রেনীয় বাহিনী স্কুল ও হাসপাতালসহ জনবহুল আবাসিক এলাকায় ঘাঁটি স্থাপন এবং সেখান থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করার মাধ্যমে রুশ বাহিনীর হামলার মুখে ফেলে দিয়েছে নিজ দেশের বেসামরিক নাগরিকদের।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া রুশ বাহিনীর হামলা প্রতিহত করতে এমন রণকৌশল কাজে লাগাচ্ছে কিয়েভ। এমন অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
এই ধরনের রণকৌশল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করে এবং বেসামরিক লোকদের বিপদে ফেলে দেয়। এর মাধ্যমে কিয়েভ বেসামরিক নাগরিক ও স্থাপনাকে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছে। এতে এমনসব জনবহুল এলাকায় চালানো রুশ হামলার বলি হচ্ছে বেসামরিক মানুষ ও অবকাঠামো।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাগনেস ক্যালামার্ড বলেন, ‘ইউক্রেনীয় বাহিনী কীভাবে বেসামরিক নাগরিকদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে এবং জনবহুল এলাকা থেকে যুদ্ধ পরিচালনার মাধ্যমে যুদ্ধের আইন লঙ্ঘন করছে সেগুলোর ধরন ও নমুনা আমরা নথিভুক্ত করেছি।’
রুশ হামলার বিপরীতে আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অমান্য করলে তা থেকে দায়মুক্তি পেতে পারে না ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এও মনে করে না যে রণকৌশল ও যুদ্ধনীতি মেনে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে মস্কো। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে খারকিভ, দোনভাসসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাতে গিয়ে যুদ্ধাপরাধ করেছে রুশ বাহিনীও।
বেসামরিক এলাকায় ইউক্রেনীয় বাহিনীর স্থাপনা বেআইনিভাবে রুশ সামরিক বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে এমন তথ্য পায়নি সংস্থাটি।
চলতি বছর এপ্রিল থেকে জুলাইয়ের মধ্যে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষকরা খারকিভ, ডনবাস এবং মাইকোলাইভ অঞ্চলে রুশ হামলার ধরন পর্যালোচনা করেছেন। তারা কয়েক সপ্তাহ সেসব অঞ্চলে অবস্থান করেন।
সংগঠন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন, বেঁচে যাওয়া ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার নেয়া এবং রিমোট সেন্সিং এবং অস্ত্রের ধরন বিশ্লেষণ করেন। এরপর তৈরি করেন প্রতিবেদন।