মিসরের মধ্যস্থতায় গাজায় ইসরায়েল ও ইসলামিক জিহাদের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
ইসরায়েলি হামলায় ১৫ শিশুসহ কমপক্ষে ৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত ও ৩৬০ জনের বেশি আহত হওয়ার তিন দিন পর স্থানীয় সময় রোববার রাত সাড়ে ১১টায় অস্ত্রবিরতিতে যায় দুই পক্ষ।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় পারস্পরিক ও ব্যাপক অর্থে যুদ্ধবিরতি পালনে উভয় পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মিসর।
মিসরের একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মেনার খবরে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি ইসরায়েলের হাতে বন্দি ফিলিস্তিনি খলিল আওয়াওদেহকে মুক্তি ও হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করছে মিসর। বন্দি আরেক ফিলিস্তিনি বাসাম আল সাদিকেও মুক্ত করার চেষ্টা করছে দেশটি।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদের জ্যেষ্ঠ সদস্য মোহাম্মদ আল হিন্দি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেবলুত সাবুসোলু ও গাজার শাসক দল হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া ফিলিস্তিনের উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলা এবং আল-আকসা মসজিদে ইহুদিদের জোরপূর্বক প্রবেশের বিষয়ে ফোনালাপ করেছেন।
গাজায় তিন দিনের যুদ্ধে অনেক ফিলিস্তিনি হতাহত হওয়ার পাশাপাশি ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে বেশ কিছু বাড়িঘর।
এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের দখলকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম সমন্বয়কারী লিন হেস্টিংস রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, উপত্যকার মানবিক পরিস্থিতি এরই মধ্যে শোচনীয়।
বিবৃতিতে তিনি গাজায় পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়া রোধ এবং সংঘর্ষ দ্রুত বন্ধের আহ্বান জানান।