ইউক্রেনে বাসরত রুশপন্থিদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে কিয়েভ শাসকরা। যারা রুশ বাহিনী বা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি সহানুভূতি বা সাহায্য করছে তাদের আনা হবে শাস্তির আওতায়। ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নিকোলায়েভ কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাশিয়া ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান শুরুর আগে নিকোলায়েভে প্রায় ৫ লাখ মানুষের বাস ছিল। স্থানীয় সামরিক প্রশাসনের প্রধান ভিটালি কিম শুক্রবার পুরো শহরে দুই দিনের লকডাউন ঘোষণা করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় কার্যকর হওয়া এই অবস্থা সোমবার পর্যন্ত চলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ইউক্রেনীয় সংবাদ সংস্থা ইউএনআইএএন বলছে, এই সময়ের মধ্যে নিকোলায়েভের বাসিন্দারা বিশেষ অনুমতি ছাড়া বাইরে বা সমাগম স্থানে যেতে পারবেন না। বিশেষ প্রয়োজনে নিতে হবে স্থানীয় পুলিশের অনুমতি।
নিকোলায়েভ আঞ্চলিক পরিষদের প্রধান আনা জামাজিভা বলেন, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো এই সময়কে ‘সহযোগী’ এবং ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ খুঁজে বের করবে।
অভিযানটি ইতোমধ্যেই পুরোদমে চলছে। সোমবারের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করবে পুলিশ। জামাজিভা বলেন, ‘সব বাসিন্দাকে এখন তল্লাশি করা হচ্ছে। যারা শহর ছেড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল বা ট্রেন, বাসের আগাম টিকিট কিনেছিল, তাদের চলে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে। শহর ছাড়ার আগে নিরাপত্তা ফাঁড়িগুলোতে তাদের তল্লাশি করা হয়েছিল।’
এর আগে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সম্পর্কে তথ্যের বিনিময়ে ১০০ ডলার পুরস্কার ঘোষণা করে শহর কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, এসব অভিযোগে অন্তত চারজনকে আটক করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার উচ্চ-নির্ভুল অস্ত্র ব্যবহার করে নিকোলাইভ শহরের কাছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর একটি অস্থায়ী ঘাঁটিতে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এতে ২৫০ জন বিদেশি ভাড়াটে সেনা নিহত হয় বলে দাবি করেছে কিয়েভ।
মিনস্ক চুক্তি বাস্তবায়নে কিয়েভের ব্যর্থতার উল্লেখ করে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সেনা পাঠায় রাশিয়া।