বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফিলিপাইন চীনের ধাওয়া খেলে ‘বাঁচাবে’ যুক্তরাষ্ট্র

  •    
  • ৭ আগস্ট, ২০২২ ১৩:১১

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ফিলিপাইন যুক্তরাষ্ট্রের অকৃত্রিম এক বন্ধু, অংশীদার ও মিত্র। ফিলিপাইনের সশস্ত্র বাহিনী, জাহাজ এবং বিমানের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ হলে চুক্তির অধীনেই আমরা তাদের রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

চীনের সঙ্গে টানটান উত্তেজনার সম্পর্কের মধ্যে ফিলিপাইনের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল যুক্তরাষ্ট্র। বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে কখনও হামলার শিকার হলে তখন দেশটির পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছে তারা।

ফিলিপাইনের ম্যানিলায় নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র এবং অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পর অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ কথা জানিয়েছেন বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ফিলিপাইন যুক্তরাষ্ট্রের অকৃত্রিম এক বন্ধু, অংশীদার এবং মিত্র। ফিলিপাইনের সশস্ত্র বাহিনী, জাহাজ এবং বিমানের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ হলে চুক্তির অধীনেই আমরা তাদের রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ান সফর নিয়ে চীনের সঙ্গে সম্পর্কে যে উষ্ণতা দেখা দিয়েছে তা নিয়েও কথা বলেন এই মন্ত্রী। তিনি বলেন, ফিলিপাইনের সঙ্গে ৭০ বছরের প্রতিরক্ষা চুক্তি একটি ‘লৌহ পোশাক’।

দক্ষিণ চীন সাগর অবস্থানগত কারণেই বিশ্ব বাণিজ্য বা অর্থনৈতিক পরিমণ্ডলে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের ব্যবসা-বাণিজ্যের অর্ধেকেরও বেশি এ সাগর পথেই হয়ে থাকে। এই সাগরের ব্যাপ্তি সিঙ্গাপুর ও মালাক্কা প্রণালী থেকে তাইওয়ান প্রণালী পর্যন্ত প্রায় ৩৫ লাখ বর্গকিলোমিটারের এক বিরাট এলাকা নিয়ে।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র যেমন ফিলিপাইনের পাশে থাকার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে, তেমনি ফিলিপাইনও জো বাইডেন প্রশাসনের প্রতি সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস বলেন, পরিস্থিতি আগে থেকেই বরং অস্থির ছিল। আমার বিশ্বাস পেলোসির সফর এমন পরিস্থিতির তীব্রতা বাড়ায়নি।

টানটান উত্তেজনার মধ্যে সম্প্রতি তাইওয়ানে সফরে যান ন্যান্সি পেলোসি। গত ২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার সেখানে সফরে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তাদের কেউ।

এ নিয়ে অবশ্য আগে থেকেই উদ্বেগ দেখাচ্ছিল চীন। হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র তাতে কান দেয়নি। এমন পরিস্থিতিতে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেয় তাইওয়ানকে নিজের অঞ্চল হিসেবে দাবি করা চীন।

বেইজিংয়ের কঠোর প্রতিক্রিয়া ও হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে স্বশাসিত দ্বীপটিতে পূর্বঘোষিত সফরে গিয়ে ন্যান্সি পেলোসি দেখা করেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন ও দ্বীপটির পার্লামেন্টের স্পিকারের সঙ্গে।

পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে তাইওয়ান ঘিরে সামরিক মহড়া চালায় চীন। ওই মহড়ার সময় বেইজিং তাইওয়ানের জলসীমায় ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে বলে অভিযোগ করেছে তাইপে প্রশাসন।

এসব নিয়ে প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে বরং তাইওয়ান ছাড়ার সময় পেলোসি দ্বীপটির পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে যান। সর্বশেষ চীনকে দেখাতে আগামী অক্টোবরে ভারতের সঙ্গে সীমান্তে সামরিক মহড়ায় যাওয়ার ঘোষণা এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে।

এ বিভাগের আরো খবর