যুক্তরাষ্ট্রের ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর নিয়ে উত্তেজনা চলছে চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে পুরো তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন। পরীক্ষামূলকভাবে ছুড়ছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। এরই মধ্যে অনেক ফ্লাইটের উড্ডয়ন স্থগিত হয়েছে তাইওয়ানে। কার্যত স্বশাসিত দ্বীপটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস ঘোষণা করেছে যে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর জাহাজ ও বিমান তাইওয়ান প্রণালি অতিক্রম করবে।
সে ক্ষেত্রে চীনের মহড়াকালীন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের রণতরি সেখানে উপস্থিত হলে দুই দেশের সরাসরি সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি তাইওয়ানে চীনের সামরিক মহড়ার নিন্দা করেছেন এবং জানিয়েছেন পেন্টাগনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরি ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যানকে তাইওয়ানের কাছেই অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি
কিরবি আরও বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সংগতি রেখে সমুদ্র ও পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে কাজ করা থেকে বিরত থাকব না, আমরা কয়েক দশক ধরে তাইওয়ানকে সমর্থন করে আসছি এবং একটি উন্মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে রক্ষা করছি।’
পুরো তাইওয়ান ঘিরে চলমান মহড়ায় তাজা গোলাবারুদ ব্যবহার করছে চীন।
তাইওয়ানের উপকূলের জলসীমায় চীনের ক্ষেপণাস্ত্র ডংফেং এসে পড়েছে।
জাপান বলছে, পাঁচটি চীনা ক্ষেপণাস্ত্র তাদের জলসীমাতেও আছড়ে পড়েছে। নিন্দা জানিয়ে মহড়াটি ‘অবিলম্বে বন্ধ’ করার আহ্বান জানিয়েছে টোকিও।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে তারা।
চলমান উত্তেজনাতেও তাইওয়ানের নাগরিকদের জীবনযাপন স্বাভাবিক হলেও নাগরিকরা উদ্বিগ্ন।
তাইওয়ান সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল চ্যাং জোন-সুং জানিয়েছেন, বুধবার গভীর রাতে কিনমেন দ্বীপপুঞ্জের কাছে দুটি চীনা ড্রোন দেখা গিয়েছিল এবং দুইবার এলাকায় প্রবেশ করেছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে সতর্কতা জারি করতে এবং তাদের তাড়িয়ে দিতে ফ্লেয়ার ছুড়ি। এতে তারা ঘুরে দাঁড়ায়। তারা আমাদের এলাকায় এসেছিল, আমরা তাদের আমাদের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি। আমাদের একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি আছে। তারা প্রবেশ করলে আমরা প্রতিক্রিয়া জানাব।’
জেনারেলের দাবি, ড্রোনগুলোকে গোয়েন্দা তথ্য জোগাড় করতে পাঠানো হয়েছিল।