বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শ্রীলঙ্কা সংকট: ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেখছে যুক্তরাষ্ট্র

  •    
  • ৪ আগস্ট, ২০২২ ১৮:৩১

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘শক্ত চ্যালেঞ্জ ও সংকট মধ্যে থাকলেও  গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের সুযোগ রয়েছে শ্রীলঙ্কায়।’

শ্রীলঙ্কায় গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের সুযোগ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। জানিয়েছেন, শক্ত চ্যালেঞ্জ ও সংকটের মধ্যে থাকলেও ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ রয়েছে ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটির।

কম্বোডিয়ায় বৃহস্পতিবার লঙ্কান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি সাবরির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন ব্লিঙ্কেন। বৈঠক শেষে লঙ্কান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সমর্থন পেতে যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমরা এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।’

কম্বোডিয়ায় একটি আঞ্চলিক সমাবেশ চলছে। সেই সমাবেশের মাঝে সংকট মোকাবিলায় আলোচনা করেন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন বলছে, শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক সংস্কার ও জবাবদিহি চাইছেন, এমন ব্যক্তিদের হয়রানি ও নির্বিচারে আটকে রাখতে জরুরি আইন কার্যকরের পরদিন বৈঠকটি হয়েছিল।

নিউ ইয়র্কভিত্তিক হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, গত মাসে প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিক্ষোভকারী, কর্মী, আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের ভয়ভীতি, নজরদারি এবং নির্বিচারে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে বিক্ষোভ দমাতে চেয়েছিল লঙ্কান সেনাবাহিনী।

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট ২৭ জুলাই জরুরি অবস্থার অনুমোদন দেয়। ডিক্রিটি জননিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার স্বার্থে প্রবিধান তৈরি করার ক্ষমতা দেয় প্রেসিডেন্টকে৷

বিক্রমাসিংহে দায়িত্ব নেয়ার পরপর বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, শুরুতে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও, রাজনৈতিক স্বার্থের গোষ্ঠীগুলো প্রতিবাদকে ভিন্ন দিকে নেয়ার চেষ্টায় মেতেছে। বিক্ষোভকারীরা মে মাসে শাসক দলের অন্তত ১৫ জন রাজনীতিকের বাড়ি পুড়িয়ে দিলে পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠে।

শ্রীলঙ্কায় চলমান অর্থনৈতিক সংকটের জন্য সরকারকে দুষছে সাধারণ জনগণ। ওষুধ, জ্বালানি এবং রান্নার গ্যাসের মতো অনেক প্রয়োজনীয় আমদানিকৃত পণ্যের তীব্র ঘাটতিতে ধুঁকছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। প্রতিবাদে গত কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভ করে আসছে দেশটির সাধারণ জনগণ।

একপর্যায়ে বিক্ষোভের মুখে বিক্রমাসিংহের পূর্বসূরি গোতাবায়া রাজাপাকসের সরকারি বাসভবনে হামলা চালায় বিক্ষুব্ধরা। রেহাই পায়নি প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সরকারি বিভিন্ন বাসভবনসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় ভবন দখলে নেয় প্রতিবাদকারীরা।

অবস্থা বেগতিক দেখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান গোতাবায়া রাজাপাকসে। পরে পার্লামেন্টে ভোটের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট পদে আসেন বিক্রমাসিংহে; ক্ষমতায় থাকবেন ২০২৪ সাল পর্যন্ত।

বুধবার পার্লামেন্টে দেয়া বক্তৃতায় বিক্রমাসিংহে জানান, যারা অজান্তে বা অন্যের প্ররোচনায় সহিংসতা ঘটিয়েছিলেন তাদের প্রতি নমনীয় আচরণ করা হবে। আর যারা ইচ্ছাকৃতভাবে আইন ভঙ্গ করেছে, তাদের শাস্তি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে।

গ্রেপ্তার কয়েকজনের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ এবং পার্লামেন্টে ঢুকতে জনগণকে উৎসাহিত করার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ এক ব্রিটিশ নারীর পাসপোর্ট জব্দ করেছে, যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্ষোভের বিষয়ে পোস্ট করেছিলেন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ভিন্নমতের বিরুদ্ধে শ্রীলঙ্কা সরকারের ক্র্যাকডাউন দেশের জরুরি অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তা থেকে মনোযোগ সরানোর জন্য একটি বিপথগামী এবং বেআইনি প্রচেষ্টা বলে মনে হচ্ছে।’

শ্রীলঙ্কা ইতোমধ্যে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। এতে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের চাপ থেকে আপাতত রক্ষা পেয়েছে লঙ্কান সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর