স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট উত্তেজনায় সামরিক মহড়া চালাচ্ছে চীন। পুরো তাইওয়ানকে ঘিরে ধরে মহড়া চালানো হচ্ছে। এরই মধ্যে তাইওয়ানের বিমানবন্দরে ৫০টি ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণ বাতিল করেছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের উপকূলের পানিসীমায় চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ডংফেং-সেভেন্টিন এসে পড়েছে।
পুরো তাইওয়ান ঘিরে চলমান মহড়ায় তাজা গোলাবারুদ ব্যবহার করছে চীন।
এমন পরিস্থিতিতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে তারা।
চলমান উত্তেজনাতেও তাইওয়ানের নাগরিকদের জীবনযাপন স্বাভাবিক হলেও নাগরিকরা উদ্বিগ্ন।
তাইওয়ান সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল চ্যাং জোন-সুং জানিয়েছেন, বুধবার গভীর রাতে কিনমেন দ্বীপপুঞ্জের কাছে দুটি চীনা ড্রোন দেখা গিয়েছিল এবং দুইবার এলাকায় প্রবেশ করেছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে সতর্কতা জারি করতে এবং তাদের তাড়িয়ে দিতে ফ্লেয়ার ছুড়ি। এতে তারা ঘুরে দাঁড়ায়। তারা আমাদের এলাকায় এসেছিল, আমরা তাদের আমাদের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি। আমাদের একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি আছে। তারা প্রবেশ করলে আমরা প্রতিক্রিয়া জানাব।’
জেনারেলের দাবি, ড্রোনগুলোকে গোয়েন্দা তথ্য জোগাড় করতে পাঠানো হয়েছিল।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান উপকূলে বিমানবাহী রণতরী পাঠাচ্ছে। ফিলিপাইনের উপকূল থেকে বিমানবাহী রণতরী রোনাল্ড রিগ্যান এরই মধ্যে তাইওয়ানে রওনা দিয়েছে।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র বলছে, বর্তমান উত্তেজনার কারণে বিমানবাহী রণতরী পাঠানো হচ্ছে না। রুটিন অপারেশনের অংশ হিসেবেই রোনাল্ড রিগ্যান রণতরী সেখানে যাচ্ছে।