১৮ মাস বন্ধ থাকার পর আগামী সেপ্টেম্বরে পর্যটকদের জন্য দুয়ার খুলতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় বুধবার দেশটির দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘চলতি বছর সেপ্টেম্বরে স্বশরীরে ভিসা আবেদনকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অনুমতি দেবে ফেডারেল সরকার। এ ক্ষেত্রে যাদের ভিসার আবেদনপত্র বাতিল হয়েছিল তাদের নতুন করে আবেদন করতে হবে।’
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে এত দিন যারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, যারা উচ্চতর শিক্ষা এবং কাজের জন্য ভিসার আবেদন করবেন তারা দ্রুত অনুমতি পেয়ে যেতে পারেন। তবে যারা শুধু পর্যটক হিসেবে ভিসার আবেদন পূরণ করবেন তাদের এ বছরের শেষ নাগাদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২০২০ সালের মার্চে বিভিন্ন দেশের পর্যটক, ভ্রমণেচ্ছুক অথবা ভিসা আবেদনকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ট্রাম্প প্রশাসন।
করোনা পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলে আট মাস পর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নিষেধাজ্ঞা অনেকটা শিথিল করে ফেডারেল সরকার। করোনার পূর্ণ দুই ডোজ টিকা নেয়া পর্যটক ও ভ্রমণেচ্ছুকদের স্থল ও আকাশপথে যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার অনুমতি দেয় ওয়াশিংটন।
চলতি বছরের জুনে ভিসা আবেদনকারীদের ওপর থেকে বিধিনিষেধের শর্ত ফের শিথিল করে ফেডারেল সরকার।
জো বাইডেন প্রশাসন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইটে ওঠার এক দিন আগে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট জমা দেয়ার যে শর্ত ছিল তাও আর কার্যকর থাকছে না। এর মধ্য দিয়ে করোনাবিষয়ক বিধিনিষেধের শেষ শর্তও তুলে দেয় ওয়াশিংটন।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, মেক্সিকো, কানাডা, চীনসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো।
ফলে লাখো মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শপথ নেয়ার পর ধীরে ধীরে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়।
আটলান্টিকের দুই তীরে থাকা পরিবারগুলো স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে দীর্ঘদিন উদগ্রীব হয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে ফিরতে শুরু করেছে স্বস্তি।