বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউক্রেনের কালো তালিকায় ভারতের শীর্ষ কূটনীতিক

  •    
  • ৩১ জুলাই, ২০২২ ১৭:৫৩

কালো তালিকাভুক্ত করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৭৫ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে ইউক্রেন। তাদের মধ্যে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ডের প্রধান পি এস রাঘবন, কংগ্রেস পার্টির সাবেক উপদেষ্টা স্যাম পিত্রোদা ও প্রবীণ সাংবাদিক সাঈদ নকভির নাম রয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান চলছে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে। দুই দেশের মধ্যে চলমান এই যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেন সরকার বিশ্বের ৭৫ ব্যক্তির নাম কালো তালিকাভুক্ত করেছে।

ইউক্রেনের কালো তালিকায় ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বোর্ডের (এনএসএবি) প্রধান পি এস রাঘবনসহ তিন ভারতীয় নাগরিকের নামও রয়েছে। অপর দুই ভারতীয় হলেন- যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক লেখক ও কংগ্রেস পার্টির সাবেক উপদেষ্টা স্যাম পিত্রোদা এবং প্রবীণ সাংবাদিক সাঈদ নকভি। অবশ্য তারা এই তালিকা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিল (এনএসডিসি) এই তালিকা প্রকাশ করেছে। এটি ১৪ জুলাই প্রথম প্রকাশ হয়।

ইউক্রেন বলছে, কালো তালিকাভুক্ত এসব ব্যক্তি রাশিয়ান এজেন্ট। তারা রাশিয়ার সমর্থক। তাদের বিরুদ্ধে রুশ প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।

ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কির অন্যতম ও সবচেয়ে বিশ্বস্ত সহযোগী মিখাইলো পোডোলিয়াক বলেছেন, ‘সামরিক বাহিনীর করা কালো তালিকায় বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতিনিধিসহ নির্দিষ্ট কিছু লোকের অন্তর্ভুক্তি সম্পূর্ণ ন্যায়সংগত। কারণ সামগ্রিকভাবে যুদ্ধের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো তথ্য। কারণ তথ্য জনগণকে উদ্দীপিত বা হতাশ করতে পারে। তথ্যটি সত্য হতে পারে, অথবা এটি প্রচারের অংশ হতে পারে। এর উদ্দেশ্য হলো ইউক্রেনীয়দের হত্যাকাণ্ডকে ন্যায্যতা দেয়া বা ইউক্রেনে সহায়তা কমানো।’

প্রকাশিত তালিকা সম্পর্কে ইউক্রেন সরকারের বক্তব্য, এ ছাড়া এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয়া হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইউক্রেন সরকারের তালিকা সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।

পি এস রাঘবনকে সম্প্রতি ভারত সরকার এনএসএ অজিত ডোভালের অধীনে এনএসএবি প্রধান হিসেবে পুনরায় নিযুক্ত করেছে। এটি তার তৃতীয় মেয়াদ। রাঘবন ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত রাশিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও কাজ করেছেন।

‘ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটোর মতো’- এমন এক বিবৃতি দেয়াকে পি এস রাঘবনকে কালো তালিকাভুক্তির কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্যাম পিত্রোদা এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বিশ্বের একটি চুক্তি করা উচিত। ধারণা করা হচ্ছে, এই বক্তব্যের কারণেই তাকে ইউক্রেন কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো তথ্য তার কাছে নেই।’

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী ও মনমোহন সিংয়ের উপদেষ্টা ছিলেন স্যাম পিত্রোদা।

এ বিভাগের আরো খবর