বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পেলোসি তাইওয়ানে গেলে যুদ্ধজাহাজ পাঠাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র

  •    
  • ২৮ জুলাই, ২০২২ ১১:২৫

চীনের হুমকির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, যদি ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যান, তাহলে পেন্টাগন সেখানে অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ, বিমান ও নজরদারি ব্যবস্থা পাঠাতে পারে। এমনকি স্পিকারের বিমানকে ঘিরে বাফার স্টেট গঠনেরও পরিকল্পনা করছে পেন্টাগন।

যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ান সফর করতে পারেন। এমন সফর সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি ও এক চীন নীতি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়া হিসেবে দেখছে বেইজিং।

এমন পদক্ষেপের পরিণতি হবে মারাত্মক বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে চীনের পক্ষ থেকে।

চীনের হুমকির মুখে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, যদি ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যান, তাহলে পেন্টাগন সেখানে অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ, বিমান ও নজরদারি ব্যবস্থা পাঠাতে পারে।

পেলোসির বিমানকে ঘিরে বাফার জোন স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মধ্যে। কর্মকর্তারা বলছেন, চীনসংক্রান্ত যেকোনো সম্ভাব্য ঘটনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব পথে চলে এবং চীনের সীমারেখাকে চ্যালেঞ্জ করে, তাহলে অবশ্যই এর কঠোর জবাব দেয়া হবে।’

তাইওয়ান সফর করার পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির

সম্প্রতি তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিরোধ দেখা দিয়েছে চীনের। বেশ কয়েকবারই চীনের বিমান তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। চীন দাবি করে থাকে, তাইওয়ান দেশটির অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাইওয়ানের স্বাধীনতা ঘোষণার পরিণতির বিষয়ে বরাবরই সতর্ক করে দিয়ে আসছে চীন। তবে যুক্তরাষ্ট্র সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাইওয়ানে যেকোনো চীনা আগ্রাসনের সামরিক জবাব দেবে ওয়াশিংটন।

গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল জন সি অ্যাকুইলিনো বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গত দুই দশক ধরে চীন এ অঞ্চলে সবচেয়ে বড় সামরিক বাহিনী গঠন ও অস্ত্রে সজ্জিত হচ্ছে, যা এ অঞ্চলের সামরিক ভারসাম্য নষ্ট করছে।

অ্যাকুইলিনো দাবি করেন, এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর উদ্দেশ্য ‘যুদ্ধ এড়ানো’, তবে পেন্টাগন চীনের বিরুদ্ধে লড়াই ও জেতার জন্য প্রস্তুত।

এ বিভাগের আরো খবর