ইউক্রেন থেকে শস্যবাহী জাহাজ চলাচল কয়েক দিনের মধ্যে শুরু হবে বলে আশা করছে জাতিসংঘ। এ লক্ষ্যে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের চালু হয়েছে যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র ফারহান হক সোমবার এসব জানিয়েছেন।
নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ফারহান জানান, গম সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে রাশিয়া, তুরস্ক এবং ইউক্রেন জাতিসংঘ-সমর্থিত চুক্তির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আপনাকে বলতে পারি যে চুক্তি হওয়ার পর থেকে এতে জড়িত সব পক্ষের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। গতকালও সবার কথা হয়েছে। সবাই তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিত করেছে। আগামীকালের মধ্যে ইস্তাম্বুলের যৌথ সমন্বয় কেন্দ্রে সব দল এবং জাতিসংঘের প্রতিনিধি উপস্থিতি থাকবে।’
ইউক্রেনীয় শস্য বহনকারী জাহাজ কয়েক দিনের মধ্যে চলতে শুরু করবে জানিয়ে মুখপাত্র আরও বলেন, ‘যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র শিপিং শিল্পের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। খুব নিকট ভবিষ্যতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে খাদ্য ও জ্বালানি সংকট। রাশিয়ার অবরোধের ফলে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে গম রপ্তানি করতে পারছে না বিশ্বের মোট গম চাহিদার ৮০ শতাংশ রপ্তানিকারক দেশ ইউক্রেন। অন্যদিকে, ইউক্রেন প্রশ্নে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় গ্যাস রপ্তানিতে বিপাকে আছে রাশিয়া।
এ অবস্থায় ইউক্রেনীয় সার, শস্য এবং অন্যান্য খাদ্যপণ্য রপ্তানি সচল করতে গত সপ্তাহে বহুল প্রতীক্ষিত চুক্তি হয় মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে। তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্ততায় ইস্তানবুলে চুক্তিটি হলেও, এর ২৪ ঘণ্টা না পেরোতেই ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান বন্দর নগরী ওডেসায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় পুতিন বাহিনী।
ইউক্রেনের দাবি, তাদের শস্য গুদাম লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তবে মস্কো বলছে, হামলা হয়েছে কেবল সামরিক স্থাপনাগুলোয়।
গত সোমবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানিয়েছিলেন, চুক্তির সঙ্গে চলমান সামরিক অভিযানের কোনো সম্পর্ক নেই।
‘শস্য চুক্তির অধীনে রাশিয়া এমন কোনো বাধ্যবাধকতা গ্রহণ করেনি, যা বিশেষ সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখা বা সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস রোধ করবে।’