ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ছায়াযুদ্ধ চলছে। আর ইরান ইসরায়েলকে তাদের পারমাণবিক স্থাপনার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করে আসছে।
পাশাপাশি তাদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যার অভিযোগ এনেছে।
মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আইআরএনএ বলছে, এই নেটওয়ার্কের সদস্যরা ইসরায়েলের মোসাদ গুপ্তচর সংস্থা প্রতিবেশী দেশ থেকে ইরানে প্রবেশ করে। ইসরায়েলের কুর্দিস্তান অঞ্চলে উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় ইসরায়েলের মোসাদের সঙ্গে যুক্ত এজেন্টদের একটি নেটওয়ার্ককে গ্রেপ্তারের ঘোষণা করেছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে তারা সংবেদনশীল সাইটগুলোর বিরুদ্ধে হামলা চালাতে ইরানে প্রবেশ করে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সংবাদমাধ্যম ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি (আইআরএনএ) শনিবার মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলেছে, সন্দেহভাজনরা উত্তর ইরাক থেকে ইরানে প্রবেশ করে। তবে তারা নাশকতা চালানোর আগেই গ্রেপ্তার হয়। এতে হামলার বিষয়টি প্রতিহত করা যায় বলে দাবি করছে ইরান।
তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী ইসরায়েলের সঙ্গে এই উত্তেজনার মধ্যেই ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় এই ঘোষণা দেয়।
মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আইআরএনএ বলছে, এই নেটওয়ার্কের সদস্যরা ইসরায়েলের মোসাদ গুপ্তচর সংস্থা প্রতিবেশী দেশ থেকে ইরানে প্রবেশ করে। ইসরায়েলের কুর্দিস্তান অঞ্চলে উচ্চমাত্রার বিস্ফোরক রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে এটা বলা হয়নি যে কতজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এতে তাদের জাতীয়তা দেয়ার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। অভিযুক্তদের পরিকল্পনার কোনো লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কেও জানানো হয়নি।
তবে বলা হয়েছে, নেটওয়ার্কের সদস্যদের নির্দিষ্ট স্থানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর উদ্দেশ্য ছিল। যেগুলো আগেই নির্ধারিত ছিল।
মোসাদের তত্ত্বাবধানকারী ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
তবে তেহরান ইসরায়েলকে দায়ী করে এমন একাধিক নাশকতার ঘটনার পর উত্তেজনা বেড়েছে।
২২ মে রেভল্যুশনারি গার্ড কর্নেল সাইয়্যাদ খোদায়িকে তেহরানে তার বাড়িতে হত্যা করা হয়। তার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান।
এপ্রিলে ইরান দাবি করে, তারা মোসাদের সাথে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর এক মাস আগে দাবি করে ইসরায়েলের সাথে জড়িত সন্দেহভাজনদের পরিকল্পিত পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা ব্যর্থ করেছে তারা।
চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিড একটি যৌথ প্রতিশ্রুতি স্বাক্ষর করেন। এতে তারা ইরানের পারমাণবিক অস্ত্রের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এদিকে তেহরানও বলছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। তারা পারমাণবিক অস্ত্রের চর্চার বিষয়টিও প্রত্যাখ্যান করেছে।