ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পুরো বিশ্বের মতো জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে বিপাকে পড়েছে অস্ট্রেলিয়াও। এরই মধ্যে পেট্রলের দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে দেশটি। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির ট্রাকচালকদের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা গেছে।
অস্ট্রেলিয়ায় ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দামের প্রতিবাদে ক্ষিপ্ত ট্রাকচালকরা দেশটির মহাসড়কে নেমে এসেছেন। যেসব রাস্তায় ট্রাকবহর চলাচল করছে সেসব স্থানে সাধারণ গাড়িগুলো ট্রাফিকে পড়ছে এবং তাদের চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। কারণ ট্রাফিকের চাপ থাকার সময়ই ট্রাকবহরগুলো রাস্তায় বের হয়েছিল।
বুধবার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে প্রায় ১০০টি ট্রাকের একটি কনভয় ওয়েস্ট গেট ফ্রিওয়ের পথ ধরে বেলা ১১টায় সংসদ ভবনের দিকে রওনা দেয়। যাওয়ার সময় ট্রাকগুলোর গতি ছিল মাত্র ঘণ্টায় ১৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার।
ভিক্টোরিয়ান টিপার্স ইউনাইটেডের কোষাধ্যক্ষ রিকি উলককও একটি ট্রাক চালাচ্ছিলেন। এই ট্রাকবহরের যাত্রার উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ট্রাকচালকরা সরকারকে বার্তা দিতে একটি বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছিলেন।
দেশটিতে জ্বালানির দাম ৫০-৬০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চাপে পড়েছে দেশটির ট্রাকচালকরা। কারণ অনেক ট্রাকচালকের সপ্তাহে ১ হাজার লিটারের মতো জ্বালানি তেল লাগে। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি তাদের বিপাকে ফেলছে।
জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে মেলবোর্নে ১০০ ট্রাক মহাসড়কে
এদিকে শুধু জ্বালানি তেলের সংকটের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ায় মাসখানেক আগে থেকেই প্রাকৃতিক গ্যাসের সংকট শুরু হয়েছে।
দেশটিতে লাখ লাখ নাগরিকের বাসাবাড়িতেই নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। এরই মধ্যে দেশটির কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের জানিয়ে দিয়েছে, নিউসাউথওয়েলস ও তাসমানিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হবে।
প্রাকৃতিক গ্যাসের ঘাটতি দেশটির বিদ্যুৎ সরবরাহেও ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। গত মাসেই সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে, ৫টি রাজ্যেই বিদ্যুৎ ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎনির্ভর রাজ্য কুইন্সল্যান্ডও ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার স্মরণকালের সবচেয়ে তীব্র বিদ্যুৎসংকট সামাল দিতে দেশটির জলবায়ু পরিবর্তন ও শক্তিবিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস বাউন জনগণকে সাশ্রয়ী ও সংযমী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।