যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের একটি শপিং মলে বন্দুক হামলার ঘটনায় তিন জন নিহত হয়েছেন। এ সময় একজন বেসামরিক নাগরিকের গুলিতে নিহত হয়েছেন বন্দুকধারী।
ইন্ডিয়ানার গ্রিনউডের মেয়র মার্ক মায়ার্স জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় দেশটিতে সবশেষ এই বন্দুক হামলায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে মেয়র বলেন, ‘আজ (রোববার) সন্ধ্যায় আমরা গ্রিনউড পার্ক মলে ব্যাপক গোলাগুলির সময় উপস্থিত হই। এ সময় বন্দুকধারীসহ তিনজন নিহত ও তিনজন আহত হন।’
মায়ার্স আরও বলেন, ‘হামলার সময় একজন সশস্ত্র (লাইসেন্সকৃত অস্ত্রধারী) নাগরিক ওই বন্দুকধারীকে গুলি করে হত্যা করেন।’
নিরাপত্তার স্বার্থে লাইসেন্সকৃত অস্ত্রধারীর পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
সেই সঙ্গে বন্দুকধারীর পরিচয় ও হামলার পেছনে তার কী উদ্দেশ ছিল তা নিয়েও কোনো মন্তব্য করেনি পুলিশ।
গ্রিনউড পুলিশ তাদের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট শেয়ার করেছে, যাতে হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করার অনুরোধ করা হয়েছে।
বন্দুকহামলাবিষয়ক গবেষণা সংস্থা গান ভায়োলেন্স আর্কাইভের তথ্য অনুযায়ী, এটি দেশটিতে সবশেষ বন্দুকহামলার ঘটনা। প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে ৪০ হাজার মানুষ বন্দুকহামলা বা গুলিতে নিহত হয়।
এই হামলার দুই সপ্তাহ আগে, শিকাগোতে স্বাধীনতা দিবসের র্যালিতে গত ৪ জুলাই বন্দুকহামলায় নিহত হন সাত জন। আহত হন অন্তত ৪০ জন।
এর আগে, মে মাসে নিউ ইয়র্ক সুপারমার্কেট ও টেক্সাসের প্রাথমিক স্কুলে আলাদা বন্দুকহামলায় নিহত হয়েছেন ১০ কৃষ্ণাঙ্গসহ ১৯ শিশু শিক্ষার্থী।
টেক্সাসের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর হামলার ঘটনায় ফের আলোচনায় উঠে এসেছে দেশটির অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন। এমন সব বন্দুকহামলার ঘটনার পরপরই অস্ত্র বন্ধে দাবি জোরালো হয়।
দেশটির সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৩২ কোটি নাগরিকের হাতে ৩৯ কোটি বন্দুক আছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে একটি প্রতিবেদনও ছেপেছে সিডিসি।
সিডিসির হিসাবে, ২০২০ সালে গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে চার হাজার ৩০০ শিশু। তাদের বয়স ১-১৯ বছরের মধ্যে। ২০১৯ সালের চেয়ে যা ৩৩.৪ শতাংশ বেশি।
দেশটির নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের আগামী অধিবেশনে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিষিদ্ধে নীতিমালা অনুমোদন পেতে পারে।