বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাইডেনের সাক্ষাৎ চায় আবু আকলেহর পরিবার

  •    
  • ১৫ জুলাই, ২০২২ ১২:১১

গত ১১ মে পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর তল্লাশির খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন ৫১ বছর বয়সী শিরিন আকলেহ। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাক্ষাৎ চায় পশ্চিম তীরে গুলিতে খুন হওয়া আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আকলেহর পরিবার।

বাইডেনকে পাঠানো এক চিঠিতে এই সাংবাদিকের ভাতিজি লিনা আবু আকলেহ এ অনুরোধ করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ইসরায়েল সফরের আগে এই চিঠি পাঠানো হয়। তবে সাক্ষাতের পরিবর্তে তারা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের কাছ থেকে সে দেশ সফরের জন্য একটি ফোন কল পেয়েছেন।

গত ১১ মে পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর তল্লাশির খবর সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন ৫১ বছর বয়সী শিরিন আকলেহ।

ওই সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করা হচ্ছে। তবে এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট নয়।

লিনা আবু আকলেহ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণের জন্য তারা দেশটির প্রশংসা করছেন। তবে শিরিন আবু আকলেহ যেখানে জন্মেছেন সেই জেরুজালেমে বাইডেনের সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাৎ করাটাও জরুরি।

তিনি বলেন, আবু আকলেহ ফিলিস্তিনে ছিলেন, দিন শেষে খুনও হলেন সেখানেই। এটার অর্থ অনেক কিছু্। এসব কারণে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে আমাদের বসা দরকার।

আবু আকলেহ হত্যাকাণ্ড নিয়ে নানা তথ্যই সামনে এসেছে এখন পর্যন্ত। তবে যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি নিয়ে কাউকেই দোষারোপ করেনি।

জেনিনের এক বাসিন্দা ভিডিও ধারণ করেছেন; যারা সত্যতা যাচাই করেছে আল জাজিরা। এতে দেখা গেছে, এলাকাটি খুবই শান্ত। ফিলিস্তিন এবং ইসরায়েলিদের মধ্যে কোনো সংঘর্ষের ঘটনাও ছিল না সেখানে।

ভিডিওতে কিছু লোককে কথা বলতে এবং হাসতে দেখা যায়। এ সময় আকলেহ এবং তার সহকর্মীরা প্রেস লেখা জ্যাকেট পরা অবস্থায় ছিলেন। গুলি শুরুর পর লোকজন দিকবিদিক দৌড়াতে শুরু করে। এরই এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন সাংবাদিক আকলেহ।

২০০০ সালে ফিলিস্তিনে দ্বিতীয় ইন্তিফাদা শুরুর সময় থেকে আল জাজিরার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন শিরিন আলেহ।

খুন হওয়ার সময় তার মাথায় ছিল হেলমেট, গায়ে ছিল ভেস্ট। গুলি হেলমেট ও ভেস্টের ঠিক মাঝখান দিয়ে শিরিনের ঘাড়ে বিদ্ধ হয়। এ সময় শিরিনের সহকর্মীরা এবং পথচারীরা তাকে সাহায্য করার চেষ্টা করলে গুলি চলতে থাকে। তাই তারা এগিয়ে আসতে পারেননি। নিথর পড়ে ছিল শিরিনের দেহ।

শুরুতে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা এই মৃত্যুর জন্য দায়ী। বিষয়টি প্রমাণে একটি ভিডিও প্রকাশ করে তেল আবিব। যেখানে দেখা যায়, একদল ফিলিস্তিনি গুলি ছুড়তে ছুড়তে একটি সরু গলি পার হচ্ছে।

ইসরায়েলের প্রভাবশালী মানবাধিকার সংস্থা- বিটস্লেম ওই ভিডিও ধারণের স্থানটি খুঁজে পায়। তারা জানায়, ওই ভিডিওটি শিরিন হত্যাকাণ্ডের স্থান থেকে ৩০০ মিটার (৯৮৫ ফুট) দূরের একটি স্থান।

শিরিনের কর্মস্থল আল জাজিরার সানাদ নিউজ ভেরিফিকেশন অ্যান্ড মনিটরিং ইউনিটও বিষয়টি খতিয়ে দেখে। তারাও দাবি করে, ভিডিওটি ভুয়া।

এ বিভাগের আরো খবর