যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা কোনো ধরনের ভুল করলে কঠোর ও অনুতাপ সৃষ্টিকারী জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রাচ্য সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ যৌথ অঙ্গীকারনামায় সই করার পর রাইসি এমন হুঁশিয়ারি দেন।
ইরান যাতে পরমাণু অস্ত্র বানাতে না পারে, সে লক্ষ্যে দেশ দুটি এ অঙ্গীকারনামা সই করে।
এর জবাবে দেয়া বক্তব্যে রাইসি মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার আঞ্চলিক মিত্রদের দায়ী করেন।
তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলে কোনো ধরনের নিরাপত্তাহীনতা কিংবা সংকটকে মেনে নেবে না মহান রাষ্ট্র ইরান। একই সঙ্গে ওয়াশিংটন ও তার মিত্রদের জানা উচিত, যেকোনো ধরনের ভুলের কঠোর ও অনুতাপ সৃষ্টিকারী জবাব দেবে ইরান।’
তার এ বক্তব্যের আগে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ অঙ্গীকারনামায় বলা হয়, ইরানকে কখনও পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে দেয়া হবে না।
এ লক্ষ্য অর্জনে জাতীয় সর্বশক্তি প্রয়োগের প্রস্তুতির কথাও তুলে ধরা হয় এতে।
ইরানের পরমাণু সক্ষমতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উদ্বেগ জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। জবাবে তেহরান বরাবরই বলে আসছে, তাদের লক্ষ্য পরমাণু কর্মসূচির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার; পরমাণু বোমা তৈরি করতে চায় না ইরান।
মধ্যপ্রাচ্যের ঘোষণা না দেয়া একমাত্র পরমাণু শক্তিধর দেশ ইসরায়েল পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তির ঘোর বিরোধী।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ বলেন, ইরানের পরমাণু অভিলাষ বন্ধে শব্দগুচ্ছ কিংবা কূটনীতি যথেষ্ট নয়।
ওই সময় তিনি ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে বলপ্রয়োগের ইচ্ছার কথাও জানান।