বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ট্রাম্পের কারণেই ইরানে পরমাণু অস্ত্র: বাইডেন  

  •    
  • ১৪ জুলাই, ২০২২ ১৭:৩৩

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে ‘শক্তি প্রয়োগ’ করবেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমি হামলার অনুমোদন দিতে রাজি, তবে এটি হবে চূড়ান্ত পদক্ষেপ’।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে এক হাত নিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জেরুজালেম সফরে বাইডেন বলেছেন, ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে বের হয়ে ‘বড় ভুল’ করেছেন ট্রাম্প। তার ওই সিদ্ধান্তের কারণেই ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির এত কাছাকাছি পৌঁছেছে।

ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হচ্ছে, ইরান এখন পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধ।

‘আমি মনে করি আমার সাবেক বড় ভুল করেছেন চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসে। তারা (ইরান) এখন পারমাণবিক অস্ত্রের কাছাকাছি।’

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের একমাত্র হুমকি ইরান। এ অঞ্চলের বাকি দেশগুলোর সঙ্গে তিক্ততা কমিয়ে এনেছে তেল আবিব। অন্যদিকে, ইয়েমেন ইস্যুতে সৌদি আরবের সঙ্গে বৈরিতা ইরানের।

এই অবস্থায় ইরানের বাড়তে থাকা পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগে আছে এ অঞ্চলে আমেরিকান মিত্র দেশগুলো। তেহরান ও তার সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে আটকাতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চাইছে

বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। রিয়াদ ও তেল আবিবে চার দিনের সফরে এখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলে। সফরের কয়েক ঘণ্টা আগে ওই সাক্ষাৎকারটি দেন বাইডেন।

বাইডেন বলেন, ইরানের কুদস ফোর্সকে মোকাবিলা করার পটভূমিতে চুক্তিটি এখনও ‘অর্থবোধক’। এই আধাসামরিক গোষ্ঠীটি ওয়াশিংটনের স্বার্থের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। গত এক দশকে মধ্যপ্রাচ্যে শত শত আমেরিকান সেনাকে হত্যা করেছে তারা।’

হোয়াইট হাউস ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে ‘শক্তি প্রয়োগ’ করবেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, ‘আমি হামলার অনুমোদন দিতে রাজি, তবে এটি হবে চূড়ান্ত পদক্ষেপ’।

‘তবে ইরান পারমাণবিক অস্ত্র পেতে পারে না।’

২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিটি ‘জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন’ নামে পরিচিত। ওবামা প্রশাসনের সময়কালের ওই চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া এবং জার্মানি সই করেছিল।

ইরানের ওপর চাপিয়ে দেয়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিনিময়ে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি প্রত্যাহার করার কথা বলা আছে চুক্তির শর্তে।

তবে চুক্তিটিকে অকার্যকর দাবি করে ট্রাম্প ২০১৮ সালে তা থেকে বের হয়ে এসেছিলেন। পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ইরানের ওপর।

ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে ২০২০ সালে শীর্ষস্থানীয় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেমাইনিকে হত্যার পর চুক্তি থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র।

চুপ থাকেনি ইরান। চলতি বছরের মে মাসে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা জানায়, চুক্তির চেয়ে ১৮ গুণ বেশি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত করেছে ইরান।

এ বিভাগের আরো খবর