বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী রয়েল বেঙ্গল টাইগার মনে করা হয় রাজাকে। ২৩ আগস্ট ২৭তম জন্মদিন পালনের আগে ২৬ বছর ১০ মাস ১৮ দিন বয়সে মারা গেছে রাজা।
রোববার রাত ২টার দিকে পশ্চিমবঙ্গের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের দক্ষিণ খয়ের বাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে মারা যায় রাজা।
রাজাকে শেষ বিদায় জানাতে খয়ের বাড়িতে আসেন আলিপুরদুয়ারার জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা এবং জলদাপাড়া বন বিভাগের ডিএফও দীপক এম। ফুলের মালা দিয়ে শেষ বিদায় জানানো হয় বিশ্বের প্রবীণতম রয়েল বেঙ্গল টাইগার রাজাকে। ময়নাতদন্তের পর রাজার দেহ পুড়িয়ে ফেলা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন দপ্তর।
রাজার মৃত্যুতে শোকাহত বনকর্মী পার্থসারথি সিনহা বলেন, ‘সন্তান হারানোর শোক অনুভব করছি, আজ আর কথা বলতে পারছি না।’
২০০৮ সালে ১২ বছর বয়সে সুন্দরবনের একটা খাড়ি পার হতে গিয়ে কুমিরের মুখে পড়ে একটা পা খোয়ায় রাজা। স্থানীয় বনকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে আলিপুর চিড়িয়াখানায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে জলদাপাড়া খয়ের বাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সাবেক বন্যপ্রাণী চিকিৎসক প্রলয় মণ্ডল এবং বনকর্মী পার্থসারথি সিনহার আপ্রাণ চেষ্টায় ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠে রাজা। তাকে একটা নকল পা পরিয়ে দেয়া হয়। তার রাজকীয় মেজাজের জন্য তার নাম দেয়া হয় রাজা।
তার আকর্ষণে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা ছুটে আসতেন খয়ের বাড়িতে। গত বছর ২৩ আগস্ট মহা ধুমধাম করে রাজার ২৬তম জন্মদিন পালন করা হয়।
এ বছরও বিশ্বের প্রবীণতম রয়েল বেঙ্গল টাইগার রাজার ২৭তম জন্মদিন পালনের ব্যাপক প্রস্তুতির মধ্যে রাজার মৃত্যু হলো।
রাজার মৃত্যুতে পুনর্বাসন কেন্দ্রের কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।