বিশ্বে ধীর গতিতে হলেও বাড়ছে জনসংখ্যা। এ বছরের ১৫ নভেম্বর বিশ্বের জনসংখ্যা আট বিলিয়নে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে জাতিসংঘ। ফলে জলবায়ু সংকটও প্রকট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
জাতিসংঘ সোমবার বলেছে, যেখানে বিশ্বের জনসংখ্যা এক বিলিয়নে পৌঁছাতে কয়েক হাজার বছর লেগেছে, সেখানে সাত গুণ বাড়তে মাত্র ২০০ বছর লেগেছে। আর ২০১১ সালে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত বিলিয়ন।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিকবিষয়ক বিভাগের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ১৯৫০ সালের পর থেকে বিশ্বের জনসংখ্যা সবচেয়ে ধীর গতিতে বাড়ছে। তবে আগে দ্রুত বৃদ্ধির প্রভাব আগামীতে পড়বে বলে বলছে তারা।
সামনের বছরের মধ্যেই জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীনকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত। কারণ চীনের জন্মহার কমছে। অন্যদিকে ভারতের জনসংখ্যা বাড়ছেই। দুই দেশেরই জনসংখ্যা বর্তমানে ১০০ কোটির ওপর।
জাতিসংঘ আরও বলছে, ‘নাটকীয়ভাবে জনসংখ্যার এই বৃদ্ধি প্রজনন হারে বড় পরিবর্তন, নগরায়ন বৃদ্ধি এবং অভিবাসন প্রক্রিয়ার ওপর প্রভাব ফেলছে। এবং আগামী প্রজন্মের ওপরও এটি একটি বড় প্রভাব ফেলবে।’
প্রতিবেদনে ২০৩০ সালে বিশ্ব জনসংখ্যা ৮.৫ বিলিয়ন এবং ২০৫০ সালে ৯.৭ বিলিয়ন পৌঁছানোর পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ২১০০ সালে এই বৃদ্ধি স্থিতিশীল হলেও ২০৮০-এর দশকে প্রায় ১০.৪ বিলিয়ন জনসংখ্যার শীর্ষে পৌঁছাবে।
জাতিসংঘ বলেছে, জনসংখ্যার বৃদ্ধি স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রগতির পাশাপাশি বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সমস্যা মোকাবিলার কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার ওপরও জোর দেয়।
‘এই অগ্রগতি সর্বজনীন নয়। তবে এর কারণে বছর আগে সৃষ্টি হওয়া একই উদ্বেগ এবং চ্যালেঞ্জগুলো রয়ে গেছে যা জলবায়ু পরিবর্তন, সহিংসতা, বৈষম্যের জন্যও দায়ী।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দশকে বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির পূর্বাভাসের অর্ধেকেরও বেশি শুধু আটটি দেশকেন্দ্রিক হবে।
দেশগুলো হলো, কঙ্গো, মিসর, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন এবং তানজানিয়া গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র।