হাজার হাজার বিক্ষোভকারী শনিবার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের বাসভবনে ঢুকে পড়ে। এখন পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা সে ভবন থেকে সরে যায়নি। বিক্ষোভকারীরা যখন প্রেসিডেন্টের বাসভবন ঘিরে ফেলেন, তখন গোতাবায় রাজাপাকসে পালিয়ে যান।
এসব ঘটনার এক দিন পর রোববার প্রথম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ভারত।
দেশটি বলেছে, তারা ‘শ্রীলঙ্কার জনগণের সঙ্গে দাঁড়িয়েছে’। কারণ তারা তাদের সমৃদ্ধির আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করতে চায় এবং ‘গণতান্ত্রিক উপায় ও মূল্যবোধ, প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান এবং সাংবিধানিক কাঠামোর’ মাধ্যমে অগ্রগতি চায়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেছেন, ‘ভারত শ্রীলঙ্কার নিকটতম প্রতিবেশী এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যে গভীর সভ্যতাগত বন্ধন রয়েছে।’
অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘আমরা শ্রীলঙ্কা এবং দেশটির জনগণ যে অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে, সে সম্পর্কে সচেতন এবং আমরা শ্রীলঙ্কার জনগণের সঙ্গে দাঁড়িয়েছি। কারণ তারা এই কঠিন সময়টি অতিক্রম করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী নীতিতে শ্রীলঙ্কা খুব কাছের। ভারত এই বছর নিজেই শ্রীলঙ্কার গুরুতর অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির জন্য ৩৮০ কোটি ডলারের সহায়তা বাড়িয়েছে।’
কলম্বোতে ভারতীয় হাইকমিশনার গোপাল বাগলে রোববার শ্রীলঙ্কার কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন।
ভারত সে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চললেও এ কথা বারবার পুনরাবৃত্তি করে চলেছে যে, তারা ‘শ্রীলঙ্কার জনগণের’ জন্য কাজ করছে। তারা রাজাপাকসে পরিবার বা কোনো বিশেষ রাজনৈতিক নেতাকে সমর্থন করছে না বলেও জানায়। রোববারের বিবৃতিটি ‘শ্রীলঙ্কার জনগণের’ ওপর ফোকাসকেও বিশেষভাবে চিহ্নিত করেছে।