লুহানস্কের পর এবার রুশ বাহিনীর চোখ এখন দোনেৎস্ক অঞ্চলে। লুহানস্কের গভর্নর সোমবার এ কথা জানিয়েছেন।
রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাৎকারে গভর্নর সের্হি গাইদাই বলেন, ‘স্লোভিয়ানস্ক এবং বাখমুত শহরে ভারী প্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে রুশ বাহিনীকে। কারণ পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছে রাশিয়া।’
রাশিয়া জানিয়েছে, লাইসিচানস্ক শহর থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রত্যাহারের পর গোটা লুহানস্ক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তারা। যদিও গাইদাই বলেছেন, দুটি ছোট গ্রামে লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
গাইদাই বলেন, ‘লুহানস্ক অঞ্চলের ক্ষতি বেদনাদায়ক। কারণ এটি ইউক্রেনের ভূখণ্ড। ব্যক্তিগতভাবে এটি আমার জন্য বিশেষ। এটি সেই ভূমি যেখানে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং আমি এই অঞ্চলের প্রধানও।
‘লিসিচানস্ক থেকে সেনা প্রত্যাহার ‘কেন্দ্রীকৃত’ এবং সুশৃঙ্খল ছিল। ইউক্রেনীয় সেনাদের জীবন বাঁচানোর জন্য প্রয়োজনীয় ছিল এ পদক্ষেপ।’
রুশ বাহিনীর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও কথা বলেন লুহানস্কের গভর্নর। বলেন, ‘শতভাগ সেনা পাঠাবে না তারা। সারিবদ্ধভাবে এগোবে ওরা। কারণ পাল্টা হামলার আশঙ্কা আছে রুশ বাহিনীর।
‘তবুও তাদের (রুশ বাহিনী) এখন লক্ষ্য দোনেৎস্ক অঞ্চল। স্লোভিয়ানস্ক এবং বাখমুতে তারা প্রতিরোধের মুখে পড়বে। বাখমুতে ইতোমধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়েছে।’
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হামলার পরিকল্পনা বাদ দেয়ার পর সামরিক অভিযানকে কেন্দ্রীভূত করে রাশিয়া। পুতিন বাহিনী শিল্পাঞ্চল ডনবাস দখলের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক নিয়ে গঠিত ডনবাসে মস্কো-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেন বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। মস্কোর দাবি, ইউক্রেনে রুশ ভাষাভাষীদের রক্ষায় এই অভিযান। এর আগে, পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী অধ্যুষিত দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।