বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শ্রীলঙ্কায় পেট্রলের মজুত শেষ যেকোনো সময়

  •    
  • ৪ জুলাই, ২০২২ ১৩:৩৩

১৯৪৮ সালে ব্রিটিশরাজের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে শ্রীলঙ্কা। এমন পরিস্থিতিতে জ্বালানি তেলের মজুতের বিষয়ে দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী কাঞ্চনা উইজসেকেরা কঠোর সতর্কতা জারি করেছেন, কারণ দেশটিতে এক দিনের চাহিদা মেটানোর মতো পেট্রলও নেই।   

শ্রীলঙ্কায় চলছে মন্দা। ৭০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনীতির পরিস্থিতির মুখোমুখি দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপ দেশটি।

এমন পরিস্থিতিতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জ্বালানি তেলের মজুতের বিষয়ে শ্রীলঙ্কার জ্বালানিমন্ত্রী কাঞ্চনা উইজসেকেরা কঠোর সতর্কতা জারি করেছেন।

রোববার কাঞ্চনা বলেন, নিয়মিত চাহিদার আলোকে দেশটিতে মাত্র এক দিনেরও কম পেট্রলের মজুত আছে এবং ২ সপ্তাহের মধ্যে আর কোনো পেট্রলের চালান দেশটিতে আসবে না।

এদিকে গত সপ্তাহে শ্রীলঙ্কা অপ্রয়োজনীয় যানবাহনের জন্য পেট্রল ও ডিজেল বিক্রি স্থগিত করেছে। ব্যক্তিগত গাড়িতে জ্বালানি দেয়ায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

কারণ দেশটি জ্বালানি, খাদ্য এবং ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস আমদানির অর্থ প্রদানের জন্য লড়াই করছে।

জ্বালানিমন্ত্রী উইজসেকেরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দেশে ১২ হাজার ৭৭৪ টন ডিজেল ও ৪ হাজার ৬১ টন পেট্রল মজুত রয়েছে।

আশা করা হচ্ছে পরের পেট্রলের চালান শ্রীলঙ্কায় আসবে ২২-২৩ জুলাই। এই সপ্তাহের শেষে ডিজেলের একটি চালান আসবে বলেও আশা করা হচ্ছে।

তবে উইজসেকেরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জ্বালানি ও অপরিশোধিত তেল আমদানির জন্য পর্যাপ্ত অর্থ নেই দেশটির কাছে।

তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংক জ্বালানি কেনার জন্য ১২৫ মিলিয়ন ডলার সরবরাহ করতে পারে, অথচ নির্ধারিত চালানের জন্য অর্থ দরকার ৫৮৭ মিলিয়ন ডলার।

এর আগে দুই কোটির বেশি জনসংখ্যার এই দেশে চলতি বছর অর্থাৎ আগামী ছয় মাস চলতে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি আমদানি করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।

এ ছাড়া দেশটির রান্নার গ্যাস আমদানি করতে হবে ২৫০ মিলিয়ন ডলারের।

১৯৪৮ সালে ব্রিটিশরাজের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাওয়ার পর সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করছে এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্র।

দেশটিতে নিত্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামে বিপর্যস্ত জনজীবন। মূল্যস্ফীতি, দুর্বল সরকারি অর্থব্যবস্থা এবং করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি এই বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।

লঙ্কান সরকারের অন্যতম রাজস্ব আয়ের খাত পর্যটনশিল্প ধসে পড়েছে, রেমিট্যান্স পৌঁছেছে তলানিতে। বিদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ নেমে এসেছে ২ বিলিয়ন ডলারে।

বৈদেশিক মুদ্রার অভাবে জ্বালানি আমদানি কমে যাওয়ায় স্মরণকালের ভয়াবহ সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কায় দিনের অর্ধেক বা এর বেশি সময় চলছে লোডশেডিং; খাবার, ওষুধ ও জ্বালানিসংকটে ক্ষোভ ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

গত কয়েক বছর শ্রীলঙ্কার রাজনীতি বেশ টালমাটাল ছিল। এই অবস্থায় দেশটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ নাটকীয়ভাবে কমে এসেছে।

সংকটের জন্য প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতিকে দায়ী করেন বিক্ষোভকারীরা। এমন প্রেক্ষাপটে বিক্ষোভরতদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও ক্ষমতাসীনদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে প্রাণ গেছে পুলিশ সদস্যসহ বেশ কয়েকজনের।

একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজপাকসেকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়। নতুন করে এই পদে আসেন রনিল বিক্রমাসিংহে। গঠন করা হয়েছে নতুন মন্ত্রিসভাও। তবে দেশটির সংকট কাটছেই না।

এ বিভাগের আরো খবর