চোখের সামনে গলায় খাবার আটকে ১৮ মাস বয়সী মেয়ের মৃত্যু সইতে পারছিলেন না এক দম্পতি। তাই আবেগ আর শোকে গাছের সঙ্গে ঝুলে তারা আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভারতের মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলার অটপড়ীতে গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে বলে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মারা যাওয়া দুজন হলেন ২৮ বছর বয়সী করণ হেঙ্গড়ে ও ২২ বছর বয়সী শীতল হেঙ্গড়ে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, গলায় খাবার আটকে চিকিৎসাধাীন অবস্থায় গত শনিবার মারা যায় ওই দম্পতির ১৮ মাস বয়সী মেয়ে। এই শোক কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না, তারা এ কারণেই আত্মহত্যা করেন ।
ওই দম্পতির প্রতিবেশীরা জানান, দুপুরে খাওয়ার সময় আচমকাই গলায় খাবার আটকে যায় তাদের শিশুকন্যার। বাবা-মা অনেক চেষ্টা করেন খাবার বের করতে। তবে সফল হননি। এরপর হাসপাতালে মৃত্যু হয় শিশুটির।
তারা জানান, সন্তানের শেষকৃত্য করা হলেও মন থেকে মেয়ের চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছিলেন না স্বামী-স্ত্রী। দুর্ঘটনার পর থেকে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তারা। বাড়ির মধ্যে নিজেদের বন্দি করে রেখেছিলেন। কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন গ্রামের সবার সঙ্গে।
পুলিশ জানিয়েছে, সকালে গ্রামবাসী দেখে, একটি মন্দিরের পাশের গাছে একই দড়ির ফাঁস থেকে দুটি দেহ ঝুলছে। করণের পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়। তাতে লেখা ছিল, তারা চললেন তাদের মেয়ের কাছে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে জানিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অটপড়ী থানায় আত্মহত্যার মামলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।