পুলিৎজারজয়ী কাশ্মীরের চিত্র সাংবাদিক সানা ইরশাদ মাট্টুকে দিল্লি বিমানবন্দরে আটকে দিয়েছে ভারতের অভিবাসন দপ্তর।
শনিবার ফ্রান্সে যাওয়ার কথা ছিল তার। উড়োজাহাজে ওঠার আগে আটকানো হয় ২০২২ সালে পুলিৎজারজয়ী মাট্টুকে। তার অভিযোগ, কেন তাকে ফ্রান্সে যেতে দেয়া হবে না, তার কোনো কারণ জানায়নি অভিবাসন দপ্তর। একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠান এবং চিত্র প্রদর্শনীতে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ ছিল এই চিত্র সাংবাদিকের।
বাতিল হওয়া বোর্ডিং পাসের ছবি টুইটারে পোস্ট করে ইরশাদ লেখেন, ‘একটি বই প্রকাশ এবং চিত্র প্রদর্শনীতে যোগ দিতে শনিবার দিল্লি থেকে প্যারিস যাচ্ছিলাম। ২০২০ সালে এরিজ গ্রান্ট পুরস্কার জিতেছিলেন যে ১০ জন, তাদের মধ্যে আমিও রয়েছি। ফরাসি ভিসা থাকা সত্ত্বেও আমাকে দিল্লি বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হয়। কোনো কারণ জানানো হয়নি। তবে বলা হয়েছে আমি বিদেশে যেতে পারব না।’
বিভিন্ন সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ অভিবাসন দপ্তরকে জানায়, মাট্টুর নাম সরকারের ‘নো-ফ্লাই’ নাগরিকদের তালিকায় রয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের সাংবাদিকদের সংগঠন পুলিৎজার বিজয়ীকে বিদেশ যেতে বাধা দেয়ায় কেন্দ্র সরকারের কড়া সমালোচনা ও নিন্দা জানিয়েছে।
কাশ্মীরের সাংবাদিক ফেডারেশন টুইট করেছে, ‘তথাকথিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকার নামে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে, যার অস্তিত্ব কখনই আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করা হয়নি।’
টুইটে বলা হয়েছে, ‘কাশ্মীরের সাংবাদিকরা সব সময়ই বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে কাজ করেছেন, জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষায় বিপদের মুখে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধরে রেখেছেন... আমরা মাট্টুর হয়রানির প্রতিবাদ করি এবং তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করি।’
মাট্টুই প্রথম নন। সাম্প্রতিককালে জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক সাংবাদিককে বিদেশ সফরের অনুমতি দেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।
এর আগে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে জার্মানি যাওয়ার পথে দিল্লি বিমানবন্দরে আটকানো হয় কাশ্মীরি সাংবাদিক গওহর গিলানিকে।
গত বছর আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে যাচ্ছিলেন সাংবাদিক-অধ্যাপক জাহিদ রাফিক। তাকেও উড়োজাহাজে উঠতে দেয়া হয়নি। সেই তালিকায় আছেন রুয়া শা, আমির খানও।
২৮ বছর বয়সী মাট্টু শ্রীনগরের বাসিন্দা। তিনি রয়টার্সের চিত্র সাংবাদিক। ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে এ বছর তিনি পুলিৎজার পান।