বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ন্যাটোর কাছে মাসে ৪৮ হাজার কোটি টাকা চান জেলেনস্কি

  •    
  • ৩০ জুন, ২০২২ ১৩:৩৮

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি মনে করেন, পশ্চিমাদের উচিত ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিজয়ী হতে সর্বাত্মক সহায়তা করা, কারণ কিয়েভ পরাজিত হলে রাশিয়া ও পশ্চিমা শক্তির সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠবে।

ইউক্রেনে চলছে রুশ সামরিক অভিযান। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে চলমান লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো ব্লককে তার দেশের প্রতি সহযোগিতা ও সমর্থন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার মাদ্রিদে ন্যাটো সম্মেলনে ভিডিওলিংকের মাধ্যমে ভাষণ দেয়ার সময় জেলেনস্কি এই মন্তব্য করেছেন।

তিনি আরও বলেন, কিয়েভ পরাজিত হলে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধ হবে। আপনারা হয় ইউক্রেনের জয়ের জন্য যথেষ্ট সাহায্য করুন, নতুবা রাশিয়া ও আপনাদের (পশ্চিমা) মধ্যে যুদ্ধ হবে।

ইউক্রেনের সরাসরি সামরিক ও আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভের বাজেট ঘাটতি মেটাতে মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার (৪৮ হাজার কোটি টাকা) প্রয়োজন।

জেলেনস্কির মতে, সামরিক সহায়তার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তাও গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনকে যুদ্ধের ময়দানে বিজয়ের মাধ্যমে এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সাহায্য করতে এবং রুশ কর্মকাণ্ডের সত্যিকার জোরালো জবাব দিতে সমগ্র ইউরো-আটলান্টিক সম্প্রদায়ের জন্য প্রয়োজন।

এবারে ন্যাটো সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে জেলেনস্কি বলেন, এবারের সংঘাত শেষ হলে আমাদের অবশ্যই পশ্চিমা নিরাপত্তাবলয়ে একটি স্থান দিতে হবে। আমাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দরকার এবং আপনাদের অবশ্যই ইউক্রেনের জন্য একটি সাধারণ নিরাপত্তার জায়গা খুঁজে বের করতে হবে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।

দোনবাসের বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।

যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের খাদ্যসংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

এ বিভাগের আরো খবর