বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিষেক অক্সফোর্ড জালিয়াতের

  •    
  • ৩০ জুন, ২০২২ ১০:৪৯

ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। যিনি ‘বংবং’ নামে পরিচিত। তার বাবা ফার্দিনান্দ মার্কোস সিনিয়র ফিলিপাইনের সাবেক স্বৈরশাসক। মার্কোস সিনিয়রকে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করার ৩৬ বছর পর এসে মার্কোস জুনিয়র গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।

ফিলিপাইনের ১৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র, বংবং নামেও পরিচিত। তার শপথ গ্রহণের মাধ্যমে ফিলিপাইনে দুতার্তে যুগের অবসান হলো।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৬ বছর পর মার্কোস পরিবারের কেউ প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ মালাকাংয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন।

এর আগে মে মাসে দেশটিতে হওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়ে নিরঙ্কুশ জয়লাভ করেন মার্কোস।

১০ জন প্রার্থী ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও মার্কোসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লেনি রব্রিদোর থেকে তিনি প্রায় দ্বিগুণ ভোট পেয়েছিলেন।

মার্কোস পেয়েছিলেন ২ কোটি ১৭ লাখ ভোট এবং লেনি রব্রিদো পেয়েছিলেন ১ কোটি ৩ লাখ ভোট।

অথচ ২০১৬ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে এই লেনি রব্রিদোর কাছেই হেরেছিলেন মার্কোস।

নির্বাচনি প্রচারণায় তিনি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব কমিয়ে আনা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লেনি রব্রিদো, যিনি দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার প্রতিশ্রুতি ছিল, দেশটির গণতন্ত্রের স্বার্থে আরও জবাবদিহিমূলক ও স্বচ্ছ সরকার প্রতিষ্ঠা করার।

ফিলিপিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আরিয়েস আরুগে আল জাজিরাকে বলেছিলেন, ‘এই নির্বাচন মূলত ভালো ও খারাপের প্রচারণা। এটি স্পষ্ট যে দুতার্তে ছিলেন রাজতান্ত্রিক, স্বৈরাচার ও দায়মুক্তির প্রতিনিধি, সেখানে রব্রিদো প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন এর বিপরীত: সততা, দায়বদ্ধতা ও গণতন্ত্র।’

কে এই ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র?

ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। যিনি ‘বংবং’ নামে পরিচিত। তার বাবা ফার্দিনান্দ মার্কোস সিনিয়র ফিলিপাইনের সাবেক স্বৈরশাসক। ১৯৮৬ সালে মার্কোস সিনিয়রকে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।

৬৪ বছর বয়সী মার্কোস পড়াশোনা করেছেন ইংল্যান্ডের সাক্সেসের প্রাইভেট ওর্থ স্কুলে। তার অফিশিয়াল বায়োগ্রাফিতে তিনি নিজেকে একজন অক্সফোর্ড গ্র্যাজুয়েট দাবি করলেও ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি নিশ্চিত করেছে, তিনি কেবল ১৯৭৮ সালে সোশ্যাল স্টাডিজে ডিপ্লোমা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তিনি তার পড়াশোনা শেষ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, এই ডিপ্লোমা কখনই গ্র্যাজুয়েশনের ডিগ্রির সমতুল্য নয়।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাবেক ফিলিপিনো ছাত্রদের সংগঠন অক্সফোর্ড ফিলিপিন্স সোসাইটিও জানিয়েছিল, মার্কোসের অক্সফোর্ড গ্র্যাজুয়েশনের দাবি সত্য নয়। এমনকি সংগঠনটি একজন হেভিওয়েট প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর মিথ্যা দাবিতে উদ্বেগও জানিয়েছিল।

এ বিভাগের আরো খবর