বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সস্তায় রাশিয়ার তেল কিনছে পাকিস্তান

  •    
  • ২৯ জুন, ২০২২ ১৮:২৫

অর্থনৈতিকসহ নানা সংকটে পড়েছে এশিয়ার দেশ পাকিস্তান। জ্বালানি আমদানিও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া ছাড়ে যে জ্বালানি বিক্রি করছে; তার সুযোগ নিতে চায় শাহবাজ শরিফের দেশ।

ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা এসেছে রাশিয়ার জ্বালানির ওপর; তবে উল্টো পথেও হেঁটেছে কেউ কেউ। সেই তালিকায় এবার যোগ হলো পাকিস্তানের নাম। সস্তায় রাশিয়ার তেল কেনার কথা ভাবছে এ দেশ।

এরই মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিয়ে পাকিস্তানের জ্বালানি মন্ত্রণালয় শিল্প বিশ্লেষকদের কাছে মত চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে বুধবার জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম জিও টিভি

অর্থনৈতিকসহ নানা সংকটে পড়েছে এশিয়ার দেশ পাকিস্তান। জ্বালানি আমদানিও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া ছাড়ে যে জ্বালানি বিক্রি করছে; তার সুযোগ নিতে চায় শাহবাজ শরিফের দেশ।

এর আগে ভারত ও শ্রীলঙ্কাসহ অনেক দেশই রাশিয়ার তেল আমদানির ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়। এর প্রভাব পড়েছে তেলসমৃদ্ধ দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর। যুদ্ধরত অবস্থাতেও জ্বালানি বিক্রি করে তাদের আয় বেড়েছে অনেক।

পাক-আরব শোধনাগারর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জাতীয় শোধনাগার এবং পাকিস্তানি শোধনাগারসহ সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠিয়ে রাশিয়ার তেল আমদানি নিয়ে যৌক্তিক মত চেয়েছে পাক মন্ত্রণালয়।

জিও নিউজের এক অনুষ্ঠানে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী মোসাদিক মালিক বলেন, সস্তায় রাশিয়া থেকে তেল কেনার কথা ভাবছে পাকিস্তান।

তিনি বলেন, রাশিয়া অমাদের কাছে অল্প দামে তেল বেচতে চায়। তবে ব্যাপারটি বিশ্লেষণ করে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

ইউক্রেনে হামলা শুরু করলে রাশিয়ার জ্বালানি খাত বড় ধাক্কার মুখে পড়ার শঙ্কা ছিল, তবে এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে ভারত-চীনের মতো দেশ। তবে ছাড়ে পাওয়া বেশি পরিমাণ তেল কিনে নিয়েছে চীন।

পূর্ব ইউক্রেনের রুশপন্থি বিদ্রোহীদের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে গত ফেব্রুয়ারিতে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ২০১৪ সাল থেকে এ অঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা স্বাধীনতার জন্য লড়াই শুরু করেন।

এমন প্রেক্ষাপটে বেশ কিছুদিন সীমান্তে সেনা মোতায়েন রেখে ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন পুতিন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।

বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। দেশটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে আসছে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির ৮০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। একই সঙ্গে দেশ ছেড়েছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এ যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের খাদ্যসংকট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

এ বিভাগের আরো খবর