ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে সাংবাদিক, সমাজকর্মী গ্রেপ্তারের বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, ‘সাংবাদিকরা যা লেখেন, যা টুইট করেন এবং যা বলেন তার জন্য জেলে যাওয়া উচিত নয়।‘
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে দৈনিক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের অল্টনিউজের সহপ্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ জুবায়েরকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে স্টিফেন বলেন, ‘জনগণকে কোনো হয়রানির হুমকি ছাড়াই স্বাধীনভাবে নিজের মত প্রকাশের অনুমতি দেয়া গুরুত্বপূর্ণ।’
অল্ট নিউজের সহপ্রতিষ্ঠাতা প্রতীক সিন্হা জানান, ২০২০ সালে একটি অন্য মামলায় জুবায়েরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। যে মামলায় আদালত ইতোমধ্যে তাকে যাতে গ্রেপ্তার করা না হয় তার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তাকে অন্য একটি মামলায় সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশের দাবি, যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ হাতে নিয়েই জুবায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার জুবায়েরকে আদালতে তোলা হবে।
অল্ট নিউজ একটি অলাভজনক ‘ফ্যাক্ট চেকিং’ সংবাদমাধ্যম। এই ওয়েবসাইটে মূলত খবরের সত্য-মিথ্যাকে বিশ্লেষণ এবং যাচাই করে প্রকাশ করা হয়। অল্ট নিউজের প্রতিষ্ঠাতা প্রতীক আর জুবের।
জুবায়েরকে গ্রেপ্তারের দুই দিন আগে, গ্রেপ্তার করা হয় তিস্তা সেতালবাদকে। সমাজকর্মী তিস্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, জালিয়াতি ও আদালতে নিরপরাধ ব্যক্তিদের হেনস্তা করতে মিথ্যা প্রমাণ দেয়ার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা তিস্তা সেতালভাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেছে।