এপ্রিল থেকে চলা আসামজুড়ে তীব্র বৃষ্টিপাতে বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত ১১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মধ্য ও পশ্চিম আসামে পরিস্থিতি উন্নতি হলেও দক্ষিণ আসামের বরাক উপত্যকায় পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় বন্যার কারণে রাজ্যটিতে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্যের কাছাড় জেলা সদর দপ্তর এবং শিলচরের পরিস্থিতি সংকটজনক।
শিলচরের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শ্মশান ও কবরস্থান বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ার কারণে শেষকৃত্যের জন্য মোড়ানো মৃতদেহ ভেসে যাচ্ছে।
কাছাড়ের ডেপুটি কমিশনার কীরথী জলি বলেছেন, গুরুতর রোগীদের শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরের জন্য নিয়মিত অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারছে না।
ডেপুটি কমিশনার জলি বলছেন, ছাদে বসবাসকারী প্রায় ৪০০ পরিবারের জন্য জল বিশুদ্ধকরণ মেশিন স্থাপন করে দেয়া হয়েছে।
বন্যাপ্লাবিত অঞ্চল ম্যাপিং এবং দুর্বল এলাকায় ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করার জন্য শিলচরে দুটি ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় নাগাল্যান্ডের স্বাভাবিক জীবনও ব্যাহত হয়েছে। অনেক প্রত্যন্ত এলাকায় এরই মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, তবে প্রাণহানির কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি।
আসাম ছাড়াও অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়ে এপ্রিল থেকে বৃষ্টির কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং এই দুই রাজ্যে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।