বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘দোনেৎস্কে মার খাচ্ছে রুশপন্থিরা’

  •    
  • ২২ জুন, ২০২২ ১৯:৫৮

এটি ডনবাসে রাশিয়ান এবং রাশিয়ান প্রক্সি বাহিনীর চরম অবস্থার প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও ইউক্রেন অভিযানে হতাহতের বিষয়ে পুতিন সরকার কোনো কিছুই স্পষ্ট করেনি।

ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে রুশ ও রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী। যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এ দাবি করেছেন। তারা বলছেন, ইউক্রেনের প্রতিরোধের মুখে দোনেৎস্কের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ৫৫ শতাংশ শক্তি হারিয়েছে।

পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দিয়ে ফেব্রুয়ারিতে সেখানে সেনা পাঠান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ইউক্রেনের শাসকরা বলছেন, রুশ সেনারা এখন গোটা দোনেৎস্ক অঞ্চল দখলের চেষ্টা করছে। লিসিচানস্ক শহর ঘিরে ফেলছে তারা।

আঞ্চলিক প্রধান সেরহি হাইদাই বলেছেন, শহরে ‘ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ’ হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমার বোন সেভেরোডোনেটস্ক শহরে থাকে। সেখানকার অবস্থা ভয়াবহ। সেখানে সাত থেকে আট হাজার মানুষ বাস করে।’

যুক্তরাজ্যের সামরিক গোয়েন্দারা বলছেন, রাশিয়া সম্ভবত ইউক্রেনের পূর্ব ডনবাসে বিপুল রিজার্ভ ইউনিট মোতায়েন করার লক্ষ্য নিয়েছিল। ডনবাস দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক নিয়ে গঠিত।

এটি ডনবাসে রাশিয়ান এবং রাশিয়ান প্রক্সি বাহিনীর চরম অবস্থার প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও ইউক্রেন অভিযানে হতাহতের বিষয়ে পুতিন সরকার কোনো কিছুই স্পষ্ট করেনি।

মানবাধিকারকর্মী দারিয়া মোরোজোভা গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, ‘ডনবাসে ২ হাজার ১২৮ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন, আহত ৮ হাজার ৮৯৭ জন। নিহত বেসামরিক নাগরিকের সংখ্যা ৬৫৪।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার গভীর রাতের এক ভাষণে বলেছিলেন, ‘লুহানস্ক বর্তমানে সবচেয়ে কঠিন এলাকা। হানাদার সেনাবাহিনী দোনেৎস্কে চাপ সৃষ্টি করছে।’

ইউক্রেনীয় বাহিনীর বোমাবর্ষণে দোনেৎস্ক শহরে বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ছবি: এএফপি

এদিকে রুশ বাহিনী বুধবার দক্ষিণের শহর মাইকোলাইভে সাতটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় নেতা ভিটালি কিম। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

অভিযোগ আছে, কয়েক মাস ধরে বেসামরিক লোকদের জোর করে মিলিশিয়ায় ঢোকানো হচ্ছে। তাদের নিম্নমানের অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হচ্ছে। মনোবল হারিয়ে এক ধরনের দাসত্বের জীবন পার করছে এসব মিলিশিয়া।

দোনেৎস্কের রুশপন্থি শাসকরা এখন তাদের বাহিনীর জন্য বিদেশি ভাড়াটেদের এক বছরের চুক্তির প্রস্তাব করছেন।

এ বিভাগের আরো খবর