দক্ষিণ চীনে গত কয়েক দশকের মধ্যে এই অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের কারণে বিপদে পড়া কয়েক লাখ মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার গুয়াংডং, গুয়াংসি ও জিয়াংসিসহ দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় চীনের প্রায় ৮৫টি নদীর সতর্কতা স্তরের ওপরে বন্যার সম্মুখীন হয়েছে।
গুয়াংডং ও গুয়াংজিকে ঘিরে থাকা নিচু পার্ল নদীর অববাহিকায় ভারী বৃষ্টির ফলে ৫৪টি জলপথের পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সেখানকার উৎপাদন, শিপিং ও লজিস্টিক অপারেশনগুলো হুমকির মুখে ফেলেছে যখন চীনের কঠোর কোভিড নীতির কারণে এরই মধ্যে দেশটিতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
গুয়াংডং কর্তৃপক্ষ সোমবার জানিয়েছে, দুর্যোগের সময় প্রায় ২ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এরই মধ্যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১.৭ বিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়েছে।
আর গুয়াংজি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার বাসিন্দাকে। এ ছাড়া গুয়াংজির গুইলিনে একটি গ্রাম প্লাবিত হলে সেখানে ১ হাজার মানুষ আটকা পড়েছে।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃষ্টি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, মে মাসের শুরু থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত গুয়াংডং, ফুজিয়ান এবং গুয়াংজি প্রদেশে গড় বৃষ্টিপাত 621 মিলিমিটার, যা ১৯৬১ সালের পর সর্বোচ্চ।
এর আগে এই মাসের শুরুতে, চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশে প্রবল বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় অন্তত ২১ জন মারা গেছে। গত গ্রীষ্মে মধ্য চীনের হেনান প্রদেশে ভয়াবহ বন্যায় ৩৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ ছিল ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি।