বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুদ্রাস্ফীতির আগুনে পুড়ছে ইকুয়েডর

  •    
  • ১৯ জুন, ২০২২ ১৭:২৮

ইকুয়েডরের আদিবাসী গোষ্ঠীগুলো জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে কারফিউ অমান্য করে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ১০ দফা দাবি রেখেছে সরকারের কাছে। সরকার বলছে, সংকট নিরসনে যথাসাধ্য চেষ্টা চলছে। তবে জ্বালানির দাম কমানোর কোনো সুযোগ নেই।   

মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের মধ্যেই সরকারের অর্থনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তাল দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর। রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করেই চলছে প্রতিবাদ। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বিক্ষোভের ষষ্ঠ দিন রোববার পর্যন্ত অন্তত ৮৩ জন আহত হয়েছেন, গ্রেপ্তার হয়েছেন ৪০ জন।

বিশ্বের অনেক দেশের মতো করোনা মহামারির আঘাত হেনেছে ইকুয়েডরের অর্থনীতিতে। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। বেকারত্ব জনগণকে ঠেলে দিচ্ছে দারিদ্র্যের দিকে।

জ্বালানির দাম ২০২০ সাল থেকে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ডিজেলের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে; এক থেকে ১.৯০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে প্রতি গ্যালন। পেট্রলের দাম ২.৫৫ ডলার। দুই বছর আগেও লিটার মিলত ১.৭৫ ডলারে।

এই অবস্থায় সবচেয়ে বিপাকে পড়ে দেশটির আদিবাসী সম্প্রদায়। ১ কোটি ৭৭ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে ১০ লাখের বেশি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। তারাই শুরু করে বিক্ষোভ। এতে সংহতি জানায় শিক্ষার্থী, শ্রমিক এবং বিভিন্ন সংগঠন।

পুলিশ বলছে, ইম্বাবুরা, কোটোপ্যাক্সি এবং পিচিঞ্চাসহ ২৪ প্রদেশে বিক্ষোভ চালিয়েছে আদিবাসীরা।

পরিস্থিতি সামলাতে প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসো শুক্রবার গভীর রাতে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এ সময় হতদরিদ্রদের মাসিক ভর্তুকি দেয়ার ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট লাসো। জানানো হয়, রাষ্ট্রচালিত ব্যাংকগুলোকে তাদের ঋণ আছে, তা ফেরতের বিষয়টি শিথিল করা হবে।

তবে প্রেসিডেন্টের আশ্বাসে আস্থা রাখতে পারছে না বিক্ষোভকারীরা। তিন প্রদেশে জরুরি অবস্থা অমান্য করে প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তাদের দাবি একটাই, কমাতে হবে জ্বালানি ও খাদ্যের দাম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে থেমে থেমে চলছে সংঘর্ষ।

টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট লাসো বলেন, ‘পদক্ষেপগুলো বিক্ষোভ বন্ধে ব্যর্থ হয়েছে। আমি সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলাম, তবে তার প্রতিক্রিয়া ছিল ভয়াবহ। তাদের সমাধান খোঁজার কোনো উদ্দেশ্য নেই।’

জরুরি অবস্থা

শৃঙ্খলা বজায়, নাগরিকের অধিকার স্থগিত এবং কারফিউ ঘোষণা করতে সশস্ত্র বাহিনীকে ক্ষমতা দেয়া হলো জরুরি অবস্থা। এই অবস্থা ইম্বাবুরা, কোটোপ্যাক্সি এবং পিচিঞ্চাতে এক মাস চলবে। এই অঞ্চলগুলোতে সহিংসতা বেশি হয়েছে।

আদিবাসী নেতারা আইন প্রণেতাদের জরুরি অবস্থার অবসান ঘটাতে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আদিবাসীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ ইনডিজেনাস ন্যাশনালিটিস অফ ইকুয়েডর (কোনাই) ১৯৯৭ এবং ২০০৫ এর মধ্যে তিনজন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ভূমিকা রেখেছে।

সংগঠনটি বলছে, সরকারের কাছে তোলা ১০ দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সড়ক অবরোধ থাকবে। এসব দাবির মধ্যে আছে ডিজেলের দাম লিটারপ্রতি ১.৫০ ডলার এবং পেট্রলের দাম ২.১০ ডলার। তবে এই দাবিটি প্রত্যাখ্যান করেছে ইকুয়েডর সরকার।

অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে খাদ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং অন্তত ৪০ লাখ পরিবারের ব্যক্তিগত ব্যাংক ঋণ পুনর্বিবেচনা।

এ বিভাগের আরো খবর