ভারতের আসাম রাজ্যের ২৮টি জেলা বন্যায় আক্রান্ত। এরই মধ্যে অন্তত ১৯ লাখ মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন। মারা গেছেন অন্তত ১২ জন। এদিকে মেঘালয় প্রশাসন বলছে, রাজ্যে বন্যায় মারা গেছেন ১৯ জন।
আসামে এক দিনে ৮১১.৬ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ডের দুই দিন পরই শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে ৯৭২ মিলিমিটার, যা ১৯৯৫ সালের জুন মাসের পর থেকে সর্বোচ্চ এবং ১২২ বছরের মধ্যে আসামের তৃতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।
বন্যা পরিস্থিতির যখন ক্রম অবনতির মধ্যেই ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ২২ তারিখ পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাত চলতে থাকবে আসাম ও মেঘালয়ে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
ভারতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ব্রহ্মপুত্র ও গৌরাঙ্গ নদের পানি অনেক এলাকায় বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে, জরুরি প্রয়োজন না হলে বা কোনো চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয় ছাড়া বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
টানা তৃতীয় দিনের মতো বন্যার ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে আসামের রাজধানী গুয়াহাটির বেশির ভাগ অংশ স্থবির হয়ে পড়েছে। এ শহরেও বেশ কয়েকটি ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এমন একটি ভূমিধসের ঘটনায় নুনমতি এলাকার অজন্তানগরে তিনজন আহত হয়েছেন।
আসামের রাঙ্গিয়া বিভাগের নলবাড়ু ও ঘোরগাপারের মধ্যে রেল ট্র্যাকে জলাবদ্ধতার কারণে কমপক্ষে ৬টি ট্রেন বাতিল ও ৪টি আংশিকভাবে বাতিল করা হয়েছে।