ব্রাজিলের আমাজন রেইনফরেস্টে নিখোঁজ ব্রিটিশ সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের পুলিশ নিশ্চিত করেছে, রেইন ফরেস্টে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাওয়া দুটি মরদেহের একটি যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক ডম ফিলিপসের।
পুলিশ জানিয়েছে, ডেন্টাল রেকর্ডের মাধ্যমে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, অন্য মরদেহটি আদিবাসী বিশেষজ্ঞ ব্রুনো পেরেইরার। তবে সে মরদেহের এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
মরদেহ দাফনকারী অ্যামারিলডো দা কস্তা ডি অলিভেইরাকে আটক করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে তার ভাই ওসেনে দা কস্তা ডি অলিভেইরাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যদিও ওসিনে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
২০১৯ সালে দুই আদিবাসীর সঙ্গে কথা বলছেন সাংবাদিক ডম ফিলিপস
সন্দেহভাজনের স্বীকারোক্তির পর ডন ফিলিপের পরিবার জানিয়েছে, তাদের ‘হৃদয় ভেঙে গেছে’।
বৃহস্পতিবার দেয়া এক বার্তায় পরিবারটি বলেছে, যারা ডন ফিলিপকে খুঁজে বের করার চেষ্টায় অংশগ্রহণ করেছিলেন, বিশেষ করে সেসব আদিবাসী গোষ্ঠী যারা আক্রমণের আলামত জোগাড় করতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
ডন ফিলিপের সহধর্মিণী আলেকসান্দ্রা সামপায়েও আলাদা এক বার্তায় বলেছেন, ‘আমরা এখন তাদের বাড়ি আনতে পারব এবং বিদায় জানাতে পারব।’
এর আগে পৃথিবীর বৃহত্তম বনাঞ্চল আমাজনে ঢুকে নিখোঁজ হয়েছিলেন যুক্তরাজ্যের সাংবাদিক ডম ফিলিপস।
সবশেষ জুনের ৩ তারিখ ব্রাজিলের আমাজন রাজ্যের জাভরি এলাকায় জঙ্গলে তাকে ও তার সঙ্গী আদিবাসী বিশেষজ্ঞ ব্রুনো পেরিইরাকে দেখা গিয়েছিল। এ দুজনই আদিবাসী গ্রুপের পক্ষ থেকে হুমকি পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
ডম ফিলিপস গার্ডিয়ান পত্রিকার কন্ট্রিবিউটর হিসেবে কাজ করতেন। একটি বইয়ের জন্য গবেষণার কাজে অ্যামাজনে গিয়েছিলেন তিনি।
৫৭ বছর বয়সী এই সাংবাদিক আমাজন নিয়ে বিস্তর লেখালেখি করেছিলেন। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি ব্রাজিলে বসবাস করছিলেন।