সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
স্থানীয় সময় শুক্রবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল এই অনুমোদন দেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
মন্ত্রণালয় বলছে, আপিলের জন্য ১৪ দিন সময় পাবেন অ্যাসাঞ্জ। এতে তার ‘মানবাধিকার সুরক্ষিত’ থাকবে।
২০১০ থেকে ২০১১ সালে গুরুত্বপূর্ণ নথি ফাঁসের জন্য উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতাকে তাদের দেশে নিতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র। নথি ফাঁসে তাদের আইন ভঙ্গ ও জনজীবন ঝুঁকিতে পড়েছে বলে দাবি দেশটির।
অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ১৭টি গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগসহ ১৮টি অভিযোগ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। সে দেশে পাঠানো হলে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে তার ১৭৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
এর আগে গত এপ্রিলে লন্ডনে ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাজ্যে পাঠানোর অনুমতি দেয়। আদালতের আদেশের পর বিষয়টি চলে যায় মন্ত্রণালয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ আটকাতে অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট অ্যাসাঞ্জের ওই আবেদন বাতিল করে দেয়।
ওই শুনানিতে বেলমার্শ কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন অ্যাসাঞ্জ। আদালতে শুনানি চলাকালে বাইরে অ্যাসাঞ্জের সমর্থকরাও জড়ো হয়েছিলেন। অ্যাসাঞ্জের স্ত্রী মরিসও আদালতের পাবলিক গ্যালারিতে ছিলেন।
৫০ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে লন্ডনের উচ্চনিরাপত্তা থাকা বেলমার্শ কারাগারে বন্দি আছেন। কারাগারেই বিয়ে করেছেন তিনি।
সুইডেন সরকারের কাছে হস্তান্তর এড়াতে ২০১২ সালে পালিয়ে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ। ২০১৯ সালে ইকুয়েডরের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হলে দূতাবাস ছাড়তে হয় তাকে।
পরে দূতাবাসের বাইরে অপেক্ষারত লন্ডনের পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। সেই সময় থেকেই বেলমার্শ কারাগারে আছেন অ্যাসাঞ্জ। একটি মামলায় জামিনের শর্ত লঙ্ঘন ও আদালতে হাজিরা না দেয়ায় গ্রেপ্তার হন তিনি।
উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা ও ওয়েবসাইটে যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশ-বিদেশের লাখো গোপন ও স্পর্শকাতর সামরিক ও কূটনৈতিক তথ্য ফাঁস করে বিভিন্ন সরকারকে ক্ষেপিয়ে তোলেন অস্ট্রেলীয় সম্পাদক, প্রকাশক ও তথ্য অধিকারকর্মী অ্যাসাঞ্জ।