এমনিতেই করোনায় বিপর্যস্ত কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়া। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার আরেকটি সংক্রামক রোগের কথা জানায় পিয়ংইয়ং, যা মহামারির রূপ নিয়েছে।
নতুন মহামারিটি কতটা গুরুতর, তা স্পষ্ট নয়। এ রোগে কত জন আক্রান্ত হয়েছেন তাও জানা যায়নি।
কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব হাইজু শহরে আক্রান্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশটির নেতা কিম উন। তিনি তার পরিবারের জন্য সংরক্ষিত ওষুধ আক্রান্তদের দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
অনেক পর্যবেক্ষক বলছেন, “উত্তর কোরিয়ায় ‘অন্ত্রের মহামারি’ বলতে টাইফয়েড, আমাশয় বা কলেরার মতো একটি সংক্রামক রোগকে বোঝায়। দূষিত খাবার এবং পানির মাধ্যমে বা সংক্রামিত মানুষের মলের মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে।”
স্বাস্থ্য বিষয়ক ওয়েবসাইট ডিপিআরকেহেলথ ডটকমের প্রধান আহন কিয়ং-সু বলেন, ‘ হাম বা টাইফয়েডের প্রাদুর্ভাব উত্তর কোরিয়ায় অস্বাভাবিক নয়। আমি মনে করি এটি সত্য। দেশটিতে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। তবে উত্তর কোরিয়া এটিকে একটি সুযোগ হিসেবে ব্যবহার করছে। কিম অসুস্থদের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন। তিনি বুঝতে পারেছেন ক্ষমতায় থাকতে হলে, জনসমর্থনের প্রয়োজন আছে।’
উত্তর কোরিয়া গত মাসে প্রথমবারের মতো করোনা প্রাদুর্ভাবের কথা স্বীকার করে। কেসিএনএ জানিয়েছে, দেশের দুই কোটি ৬ লাখ মানুষের মধ্যে ৪৫ লাখেরও বেশি মানুষ অজ্ঞাত জ্বরে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৭৩ জন।