বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্ল্যাক ডেথের শুরু যেখান থেকে

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২২ ১২:০১

টিউবিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডা. মারিয়া স্পাইরু বলেছেন, দলটি সাতটি কঙ্কাল থেকে ডিএনএ সিকোয়েন্স করেছে। এসব নমুনার তিনটিতে প্লেগ, ব্যাকটেরিয়া ও ইয়ারসিনিয়া পেস্টিস খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছে।

ইউরোপ, এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকায় ব্ল্যাক ডেথ মহামারিতে কয়েক কোটি লোক মারা যায়। ১৪ শতকের মাঝামাঝি সময়ে দেখা দেয়া এই স্বাস্থ্য বিপর্যয় মানব ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সংক্রামক ঘটনাগুলোর একটি। ইউরোপের মোট জনসংখ্যার ৩০ থেকে ৬০ ভাগ এই ব্ল্যাক ডেথে মারা যায়।

ন্যাচারের প্রকাশিত এক গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়েছে, এবার এই ব্ল্যাক ডেথ মহামারির ৬০০ বছর পরে এসে গবেষকরা বলছেন তারা এই মহামারির উৎসের সন্ধান পেয়েছেন। বছরের পর বছর গবেষণা করেও এত দিন এর উৎস ছিল অজানা।

গবেষকরা বলছেন, এর সূত্রপাত ১৩৩০-এর দশকে মধ্য এশিয়ার কিরগিজস্তানে। সেখানে দুটি কবরস্থান কারা ডিজিগাচ ও বুরানা থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন তারা।

ধারণা করা হয়, মহামারির কারণে মারা যাওয়া লোকদের এই কবরস্থানগুলোতে সমাধিস্থ করা হয়েছে। এই কবরস্থানের সমাধিফলকগুলোতে মৃত্যুর তারিখও লেখা আছে। এই কবরস্থানগুলো আইসিককুল হ্রদের কাছে অবস্থিত।

মহামারির কারণে ১৩৩৮ থেকে ১৩৩৯ সালে সেখানে সমাধিগুলোর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল।

স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ স্টার্লিং, জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ও ইউনিভার্সিটি অফ টিউবিনজেনের গবেষণা দল ৭টি কঙ্কালের দাঁত থেকে প্রাচীন ডিএনএ নমুনা বিশ্লেষণ করেছেন।

টিউবিনজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডা. মারিয়া স্পাইরু বলেছেন, দলটি সাতটি কঙ্কাল থেকে ডিএনএ সিকোয়েন্স করেছে।

গবেষকদল এসব নমুনার তিনটিতে প্লেগ, ব্যাকটেরিয়া ও ইয়ারসিনিয়া পেস্টিস খুঁজে পেতে সক্ষম হয়েছে।

তাই গবেষকদের দাবি চৌদ্দ শতকের প্রথম দিকেই এই মহামারির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। যদিও ব্ল্যাক ডেথের ভয়ংকর সময়সীমা বলতে বোঝানো হয়, ১৩৪৬ থেকে ১৩৫৩ সাল পর্যন্ত।

প্লেগ একটি সম্ভাব্য প্রাণঘাতী ব্যাকটেরিয়াবাহিত সংক্রামক রোগ। প্রধানত এর বাহক হলো ইঁদুর ও মাছি। ইয়েরসেনিয়া পেস্টিস ব্যাকটেরিয়া এই রোগের উত্তরসূরি।

এর মধ্যে বুবোনিক প্লেগে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই রোগে আক্রান্ত নারী ও পুরুষ কবজি ও বগলের স্থানে টিউমারের মতো কোনো কিছুর অস্তিত্ব অনুভব করে। ধীরে ধীরে সেগুলো বড় হতে থাকে।

একপর্যায়ে এটি আপেল বা ডিমের মতো আকার ধারণ করে ও ছড়িয়ে পড়তে থাকে। কালো রঙের এই ফোড়া অত্যন্ত বেদনাদায়ক হয় এবং রোগাক্রান্ত ব্যক্তির সারা শরীরে এটি দেখা যায়। একপর্যায়ে এগুলো পচে যায় ও পুঁজ বের হতে থাকে এবং আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে মারা যায়।

ব্ল্যাক ডেথে আক্রান্ত রোগীর আঙুল। ছবি: সিডিসি

২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ৩ হাজার ২৪৮ জনের প্লেগ শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৮৪ জন মারা যায়।

ঐতিহাসিকভাবে এই প্লেগকে ব্ল্যাক ডেথ বলা হয়, কারণ এই রোগে আক্রান্ত হলে হাত-পায়ের আঙুল কালো হয়ে যায়।

এ বিভাগের আরো খবর