ভারতে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রার্থীর প্রস্তাব দিতে বিরোধী দলগুলোর নেতারা যৌথভাবে একক প্রার্থীকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নয়াদিল্লিতে বুধবারের বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ষীয়ান নেতা শারদ পাওয়ারের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। কিন্তু নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবের ওই বৈঠকে মারাঠা স্ট্রংম্যান আরেকবার জানিয়ে দিলেন, তিনি লড়বেন না রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে ১৮ জুলাই এবং ফল ঘোষণা করা হবে ২১ জুলাই। মনোনয়নের শেষ তারিখ ২৯ জুন।
শাসক দল বিজেপি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই করতে অন্যান্য শরিক দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে। বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে দল দায়িত্ব দিয়েছে অন্য দলগুলোর সঙ্গে কথা বলার জন্য।
বৈঠক শেষে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী এবং বৈঠকের আহ্বায়ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেশ কয়েকটি দল আজ এখানে ছিল। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা একজন প্রার্থী বেছে নেব। এটি একটি ভালো শুরু। আমরা বেশ কয়েক মাস পর একসঙ্গে বসেছিলাম এবং আবার করব।’
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ১৭টি দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শারদ পাওয়ার ও কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খার্গ একটি নামের বিষয়ে ঐকমত্য তৈরি করতে বিভিন্ন দলের সঙ্গে পরামর্শ করবেন। ২২টি বিরোধী দলকে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, বিজু জনতা দল এবং পাঞ্জাবের শিরোমণি আকালি দল বৈঠকে আসেনি।
এই পাঁচ দলের না আসাকে বিজেপি তথা এনডিএর তরফ থেকে বিরোধী শিবিরে ফাটল বলে তুলে ধরা হচ্ছে। এ বিষয়ে বুধবার মমতা বলেন, ‘তাদের কিছু অসুবিধা ছিল বলে হয়তো আসতে পারেননি। এর আগে এতগুলো দল কখনও এক জায়গায় হয়নি।’
বিরোধী নেতা সুধীন্দ্র কুলকার্নি বলেছেন, ‘বিরোধী নেতাদের বৈঠকে আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একক প্রার্থী দেয়ার জন্য একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। একজন প্রার্থী যিনি সত্যিকার অর্থে সংবিধানের রক্ষক হিসেবে কাজ করতে পারেন এবং মোদি সরকারকে ভারতীয় গণতন্ত্র ও ভারতের সামাজিক কাঠামোর আরও ক্ষতি করা থেকে বিরত রাখতে পারেন।’